পোপের মৃত্যুর আগের দিন ছিল ইস্টার সানডে। এই দিনটিতে সেই ফেব্রুয়ারির পর প্রথম জনসম্মুখে এসেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।
Published : 21 Apr 2025, 11:46 PM
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫ সপ্তাহেরও বেশি সময় হাসপাতালে কাটানোর পর চিকিৎসকরা পোপ ফ্রান্সিসকে ২ মাস বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান এই ধর্মগুরু জীবনের শেষ দিনটি
কাজ করেই কাটিয়ে গেছেন।
পোপের মৃত্যুর আগের দিন ছিল ইস্টার সানডে। এই দিনটিতে সেই ফেব্রুয়ারির পর প্রথম জনসম্মুখে এসেছিলেন পোপ। সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা থেকে সমবেত জনতার উদ্দেশে ইস্টারের শুভকামনা জানান তিনি।
আর ২৩ মার্চে হাসপাতাল ছাড়ার পর কেবল দ্বিতীয়বারের মতো পোপ রোববার বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
স্বল্প সময়ের জন্য হলেও তার বাসভবনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
পোপের সঙ্গে দেখা করার পর জেডি ভ্যান্স এক্সে লেখেন, “আমি তাকে গতকাল দেখে খুশি হয়েছি। যদিও তিনি অবশ্যই খুবই রুগ্ন ছিলেন। ঈশ্বর তার আত্মকে শান্তি দিন।”
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেঙ্কোভিক এবং তার পরিবারও রোববার পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন।
সোমবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে প্লেঙ্কোভিক লেখেন, “খুব সংক্ষিপ্ত মূহুর্তের সাক্ষাৎ ছিল, কিন্তু তা ছিল খুবই আন্তরিক এবং উদারতাপূর্ণ।”
দীর্ঘ রোগভোগ থেকে সুস্থতায় ফিরে আসার পর পোপ ফ্রান্সিস অনেকটাই কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।
তিনি তার সুস্থতা এবং রোমের বিশপ হওয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন পোপের ঘনিষ্ঠ এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পোপের আত্মজীবনীর লেখক অস্টেন বলেন, পোপ চিকিৎসকদের পরামর্শ খুব সতর্কতার সঙ্গেই শুনেছিলেন। কিন্তু তার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল ‘মিশন অব প্রেজেন্স’।
অস্টেন আরও বলেন, ফ্রান্সিস ছিলেন সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার গুরু। ইস্টারে আমরা যাতে একজন পোপ পাই তা তিনি নিশ্চিত করেছেন এবং জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তার উপস্থিতির মিশন পূর্ণ করেছেন।