নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণ এবং তাদের বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য।
Published : 13 Nov 2024, 09:17 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে ওভাল অফিসে বৈঠকে বসতে চলেছেন বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায়।
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ এবং উভয়ের বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্য মেনেই এ বৈঠক হতে চলেছে। গত জুনে বাইডেন নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার নির্বাচনি বিতর্কে মুখোমুখি সাক্ষাতের পর এই প্রথম দুইজন আবার মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন।
বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে বাইডেন দেশপ্রেমেরই পরিচয় দেবেন, যেমনটি তিনি অনেক বারই প্রমাণ করেছেন। দেশের স্বার্থে তিনি এ বৈঠকে ট্রাম্পের প্রতি বিনয়ী থাকবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাবেন এবং সর্বোপরি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন।
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পও বিনয়ী আচরণই করবেন। নির্বাচনে জয় পাওয়ায় ক্যামেরার আলো থাকবে তার ওপরই। ফলে তিনি সবচেয়ে ভাল আচরণটিই করবেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তার ৯০ মিনিটের বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের এবারের বৈঠক এত দীর্ঘ সময় হবে না বলেই মনে করা হচেছ।
বৈঠকে বাইডেন ইউক্রেইনের দিকে নতুন করে দৃষ্টি দিতে ট্রাম্পকে অনুরোধ জানাতে পারেন এবং দেশটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিতও দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বলেছেন, হোয়াইট হাউজ তাদের বাকি তহবিল ইউক্রেইনের জন্য ব্যয় করবে জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিষেক হওয়ার আগেই।
বিবিসি জানায়, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে এরই মধ্যে ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত বিমানে করে ওয়াশিংটন ডিসিতে তার গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। তিনি প্রথমে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে রিপাবলিকানদের সঙ্গে দেখা করার পর হোয়ইট হাউজে বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বৈঠকে ট্রাম্প গেলেও যাচ্ছেন না তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। ফার্স্ট লেডির কার্যালয় থেকে এক্সে এক পোস্টে একথা নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে। এর আগে গণমাধ্যমে মেলানিয়া বৈঠকে যেতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে মেলানিয়ার কার্যালয় বলেছে, গণমাধ্যমে অজ্ঞাত কয়েকটি সূত্র উড়ো খবর, মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু তারা জানায়নি।