কর্মবিরতিরত চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
Published : 10 Sep 2024, 01:24 PM
ভারতের কলকাতায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ধর্মঘটে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে না ফেরার প্রত্যয় জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার মধ্যে কর্মবিরতিরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট, কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ আমলে নেননি ধর্মঘটী চিকিৎসকরা।
৯ অগাস্ট ভোরে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে সেমিনার কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গের শত শত জুনিয়র চিকিৎসক ওই নারী চিকিৎসকের সঙ্গে হওয়া অপরাধের ন্যায্য বিচার ও অধিক সুরক্ষার দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট জানিয়েছে, বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে তাদের দাবিগুলো আমলে নেওয়া হলে তারা আদালতের নির্দেশ ‘বিবেচনা’ করে দেখবে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৭০০০ চিকিৎসকের প্রতিনিধিত্বকারী জুনিয়ার ডক্টরস ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, “অন্যথায় আমরা বুঝবো, এই অচলাবস্থা নিরসনের ইচ্ছা সরকারের (রাজ্য) নেই। সেই ক্ষেত্রে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে আমরা তার জন্য সরকার দায়ী বলে ধরে নেবো।”
রয়টার্স জানিয়েছে, চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা, সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপযুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং কলকাতার পুলিশ প্রধানকে অপসারণ অন্যতম।
ভারতের শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে
আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডাঃ শুভেন্দু মালিক বলেন, “ওই ঘটনার পর থেকে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও স্থাপন করতে দেখলাম না আমরা। হাসপাতালে নারী ও পুরুষদের (চিকিৎসক) জন্য পৃথক কোনো বিশ্রাম কক্ষ, কোনো টয়লেট নেই।”
আরজি করের ঘটনা নিয়ে ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চলছে বিক্ষোভ, চিকিৎসক ধর্মঘট।
সোমবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ধর্মঘটী চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দেয়, এই সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে’ বলে সতর্ক করেছে।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে রোববার বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের ২৫টি দেশের বিভিন্ন শহরে প্রবাসী ভারতীয়রা এসব প্রতিবাদে শামিল হন।