ইউক্রেইনের চার অঞ্চলের সংযুক্তি অনুমোদন করল রুশ পার্লামেন্ট

পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন দু’কক্ষেই অনুমোদন পেয়েছে ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার বিল।

রয়টার্স
Published : 4 Oct 2022, 12:48 PM
Updated : 4 Oct 2022, 12:48 PM

ইউক্রেইনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের বিল রাশিয়ার পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে। এখন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাতে সই করলেই এ অঞ্চলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ‘ফেডারেশন কাউন্সিল’ সর্বসম্মতভাবে ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। এর আগের দিন সোমবার একইভাবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘স্টেট দুমায়’ এ সংযুক্তি অনুমোদন পায়।

এখন চার অঞ্চল সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত নথি ক্রেমলিনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। এ অঞ্চলগুলো ইউক্রেইনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত।

ইউক্রেইনে আংশিকভাবে দখল করা এসব অঞ্চলে গণভোট অনুষ্ঠানের পর রাশিয়া গত শুক্রবার এগুলোকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এরপর পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পেল।

পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার এবং ইউক্রেইন ওই চার অঞ্চলে রাশিয়ার গণভোটকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে। এই ভোট জোর করে করা হয়েছে এবং এতে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি বলে তারা অভিযোগ করেছে।

রাশিয়ার পার্লামেন্ট অনুমোদন দিলেও ক্রেমলিন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অঞ্চলগুলোর সীমানা চিহ্নিত করেনি। অঞ্চলগুলোর বড় অংশই এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন।

তাছাড়া, সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও রাশিয়া কোথা দিয়ে তাদের নিজেদের আন্তর্জাতিক সীমানা নতুন করে চিহ্নিত করবে সেটিও স্পষ্ট নয়। সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, জাপোরিজিয়া ও খেরসন অঞ্চলের সীমানা নিয়ে আলোচনা চলছে।

চার অঞ্চলের কোনোটিতেই রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। উপরন্তু সোমবারের লড়াইয়ে দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে ইউক্রেইনীয় বাহিনী। সেখানকার রাশিয়া-স্থাপিত প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই অগ্রগতির কথা স্বীকারও করেছেন।

রুশ বাহিনীর হাতে দোনেৎস্কের প্রায় ৬০ শতাংশ আর জাপোরিজিয়ার ৭০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ আছে। অন্যদিকে, লুহানস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি গত জুলাইয়ে করেছিল রুশ বাহিনী। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেইনের সেনাদের অগ্রযাত্রার কারণে সেখানকার বেশকিছু ফ্রন্টলাইন থেকেও রুশ সেনাদেরকে পিছু হটতে হয়েছে।