বিয়েবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধের পাশাপাশি সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রেখে করা একটি ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুমোদন করেছে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট।
আইনের এ পরিবর্তন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে বলে ভাষ্য সমালোচকদের।
ইন্দোনেশীয়দের পাশাপাশি বিদেশিদের জন্যও প্রযোজ্য হওয়া বিতর্কিত এ দণ্ডবিধিতে প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় দর্শনের বিরুদ্ধাচরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডাচদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে দণ্ডবিধি পালটে ফেলা নিয়ে আলোচনা চলে আসছিল; শেষ পর্যন্ত তা করতে পেরে উচ্ছ্বসিত দেশটির এখনকার আইনপ্রণেতারা।
“আগের দণ্ডবিধি ছিল ডাচদের উত্তরাধিকার, সেটি এখন আর প্রাসঙ্গিকও নয়,” আইনপ্রণেতাদের বলেন দণ্ডবিধি বদলের দায়িত্বে থাকা পার্লামেন্টারি কমিশনের প্রধান বামবাং উরিয়ান্তো।
বিয়েবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করলে তা পর্যটন ও বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে- ব্যবসায়ীদের এমন সতর্কবার্তার মধ্যেই দেশটির পার্লামেন্ট নতুন দণ্ডবিধি অনুমোদন করল।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় রক্ষণশীলতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে; তার মধ্যে নৈতিকতা সংক্রান্ত নতুন আইন এবং ধর্মীয় রীতিনীতি নিয়ে আলাদা বিধি স্থানীয় পর্যায়ে বৈষম্য ও শরিয়াভিত্তিক নিয়মকানুন চাপিয়ে দিতে পারে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কাও করছেন।
বিরোধীরা নতুন দণ্ডবিধির কিছু কিছু বিধানকে ‘সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, এগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। একে ১৯৯৮ সালে কর্তৃত্ববাদী শাসক সুহার্তোর পতনের পর গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ‘বড় ধরনের পশ্চাদপসরণ’ও বলছে তারা।