ম্যাককিনি দাবানল ৫০ হাজার একরের বেশি এলাকা জুড়ে জ্বলছে। যা এ বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্ববৃহৎ দাবানলে পরিণত হয়েছে।
Published : 02 Aug 2022, 12:30 AM
যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলের দাবানল। এরই মধ্যে দুইজনের মৃত্যুও হয়েছে। আগুন থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
একটি বাড়ির ড্রাইভওয়েতে গাড়ির ভেতর থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা।
এবিসি নিউজ কে সিসকিউ কাউন্টির শেরিফ জেরেমিয়াহ লারুই বলেন, সম্ভবত ওই দুইজন আগুন থেকে বাঁচতে গাড়িতে করে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সঙ্গে অরেগন রাজ্যের সীমান্তে জ্বলতে থাকা ম্যাককিনি দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ইরেকা শহরের উত্তরপশ্চিমের সিসকিউ কাউন্টিতে গত শুক্রবার বিকালে এ দাবানল শুরু হয়।
বর্তমানে ৫০ হাজার একরের বেশি এলাকা জুড়ে এই দাবানল জ্বলছে বলে জানায় বিবিসি। যা এ বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সর্ববৃহৎ দাবানলে পরিণত হয়েছে।
গাড়িতে যারা মারা গেছেন আগে তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হবে। তারপর তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিবিসি জানায়, তীব্র খরায় শুকিয়ে যাওয়া গাছপালা, ঝড়ো বাতাস এবং বজ্রপাতের কারণে ম্যাককিনি দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
দাবানলের কারণে রাজ্য জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দিনরাত লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু আগুনের বিরুদ্ধে তাদের সাফল্য খুবই সামান্য।
গত রোববার কাউন্টি শেরিফ বলেছিলেন, আগুনের বিরুদ্ধে তাদের সাফল্য শূন্য শতাংশ বলা চলে।
দাবানলের কারণে ‘ক্লাম্যাথ ন্যাশনাল ফরেস্ট’র চারপাশের দুই হাজারের বেশি বাসিন্দাকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। তবে কাছের শহর ইরেকার বাসিন্দদের এখনো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়নি।
যেসব ‘হাইকার’ ন্যাশনাল পার্কের ট্রেইল ধরে উপরে উঠেছিলেন উদ্ধারকর্মীরা তাদের নিচে নামিয়ে আনতে কাজ করছেন।
ম্যাককিনি দাবানল বড় আকার ধারণ করলেও এখনও সেটি গত বছর লাগা ডিক্সি দাবানলের চেয়ে আকারে ছোটই আছে।
ডিক্সি দাবানাল ক্যালিফোর্নির শত শত হাজার একর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং রাজ্যের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহৎ দাবানলে পরিণত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন গরমের মৌসুম চলছে। এই সময়ে তীব্র গরম, শুষ্ক আবহাওয়া এবং ঝড়ো বাতাস ও বজ্রপাতের কারণে নিয়মিত দাবানলের সৃষ্টি হয়।
ঘন ঘন দাবানল সৃষ্টির জন্য বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনকেও দায়ী করেছেন।