সুইজারল্যান্ডে ১০০ টিরও বেশি দেশ ও সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে কয়েক ডজন দেশ ইউক্রেইনের ভূখন্ডের অখন্ডতাকে সমর্থন দিয়েছে।
Published : 16 Jun 2024, 09:39 PM
সুইজারল্যান্ডে ১০০ টিরও বেশি দেশ ও সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউক্রেইন শান্তি সম্মেলন। কয়েক ডজন দেশ এ সম্মেলনে রাশিয়ার শুরু করা যুদ্ধ অবসানে যে কোনও শান্তিচুক্তির ভিত্তি হিসাবে ইউক্রেইনের ভূখন্ডগত অখন্ডতাকে সমর্থন দিয়েছে।
দুইদিনের এই সম্মেলন শেষের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে ইউক্রেইন যুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানুষের দুর্ভোগের জন্য রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ এ ঘোষণাপত্র সই করেনি।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করতে সহায়ক একটি প্রক্রিয়ায় যত বেশি সম্ভব সমর্থন জোগাড়ের উদ্দেশে আয়োজন করা হয়েছিল এই শান্তি সম্মেলন।
বহু দেশ এবং সংগঠন যোগ দিলেও এ সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সমর্থক দেশ চীন সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। সেকারণে এই সম্মেলন কতটুকু সার্থক হল তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে জাপোরিজিয়া পারমাণবিক স্থাপনা এবং আজভ সাগরের বন্দরগুলো ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এসবই আছে রাশিয়ার দখলে।
ঘোষণাপত্রে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রসনকে ‘যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। রাশিয়া বরাবরই তাদের অভিযানের এই ‘যুদ্ধ’ তকমা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সুইজারল্যান্ডের সম্মেলনকে সময়ের অপচয় বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতি করবে যদি ইউক্রেইন চারটি অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয়। ওই অঞ্চলগুলো আংশিক রাশিয়ার দখলে আছে। রাশিয়া এগুলোকে নিজেদের ভূখন্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
কিন্তু সুই সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের এমন প্রস্তাব কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রস্তাবের বিষয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, “ইউক্রেইনকে তাদের মাটি থেকেই সরে যেতে বলাটা আমার কাছে কোন কার্যকর প্রস্তাব বলে মনে হয় না।” তিনি এ প্রস্তাবকে ‘অপপ্রচার’ বলে মন্তব্য করেন। পুতিনের প্রস্তাবের সমালোচনা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও।
এরপর রোববার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেইনের সঙ্গে আলোচনা নাকচ করেনি। কিন্তু সেজন্য ইউক্রেইনের বিশ্বাসযোগ্যতার নিশ্চয়তা পাওয়া দরকার। আর ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যেন এতে অংশ না নেন।