পরিবেশ বিপর্যয়: অস্ট্রেলিয়ার মেনেন্ডি শহরের কাছে নদীতে লাখ লাখ মরা মাছ

লাখ লাখ মরা মাছ পচে তীব্র গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়ের চিত্র আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2023, 10:49 AM
Updated : 18 March 2023, 10:49 AM

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যের মেনেন্ডি শহরের কাছে নদীতে লাখ লাখ মরা মাছ ভেসে এসেছে।

শুক্রবার সকালে শহরটির বাসিন্দারা ঘুম থেকে উঠে পরিবেশ বিপর্যয়ের এ নিদর্শন দেখতে পান।

রাজ্যটির নদী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডার্লিং-বাকা নদীতে চলমান তাপপ্রবাহের যে প্রভাব পড়েছে এটি তার ফলাফল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরটিতে ঘটা মাছের ব্যাপক মৃত্যুর সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি, তিন বছর আগে এখানে একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল।

এক ফেইসবুক পোস্টে, এনএসডব্লিউর প্রাথমিক শিল্প বিভাগ (ডিপিআই) জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে ব্যাপক বন্যার পর আরেকটি চরম পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা হল।

বিবিসি জানিয়েছে, মানুষের কার্যকলাপের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘনঘন তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে, দিন দিন তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হয়ে উঠছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকছে।

শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ইতোমধ্যে প্রায় ১ দশমিক ১ সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো নির্গমণ হ্রাস করার পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে।

মেনেন্ডির বাসিন্দা গ্র্যাম ম্যাকক্রাব সতর্ক করে বলেছেন, ইতোমধ্যে পচন ধরে যাওয়া মাছগুলো পানি থেকে আরও অক্সিজেন শুষে নেবে, এতে অক্সিজেনের অভাবে আরও মাছ মারা যাবে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

নিউ সাউথ ওয়েলসের দূর পশ্চিমাঞ্চলীয় এই ছোট শহরটিতে প্রায় ৫০০ জন মানুষের বাস। ডার্লিং-বাকা নদী অস্ট্রেলিয়ার মারি ডার্লিং বেসিনের একটি অংশ। এটি দেশটির বৃহত্তম নদী ব্যবস্থা।

শনিবার মেনেন্ডির তাপমাত্রা ৪১ সেলসিয়াসে উঠবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এই তাপমাত্রার লাখ লাখ মরা মাছ পচে তীব্র গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়ের চিত্র আরও প্রকট হয়ে উঠবে আর তা স্থানীয়দের কঠিন এক পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেবে।

ম্যাকক্রাব জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা ধোয়া ও গোসলের কাজে এ নদীর পানি ব্যবহার করে, কিন্তু মরা মাছে পানি দুষিত হয়ে পড়ায় তারা আগামী কিছুদিন এ পানি আর ব্যবহার করতে পারবে না; এতে তীব্র গরমের মধ্যে পানির অভাবে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠবে।