ইরানে সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ব্রিটিশ-ইরানি দ্বৈত নাগরিক আলিরেজা আকবরিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে প্যারিসে ইরানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে পাঠিয়েছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
ইরানের বিচারবিভাগ শনিবার আকবরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা জানায়। আকবরিকে মুক্তি দিতে লন্ডনের জানানো আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান এ দণ্ড কার্যকর করেছে।
এরপরই এর প্রতিবাদে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় রাজধানী প্যারিসে নিয়োজিত ইরানের শীর্ষ কূটনীতিককে ডেকে পাঠায়।
তাকে সতর্ক করে দিয়ে মন্ত্রণালয় এও বলেছে, “কোনও জবাববিহীন ভাবে ইরানের বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন চলতে পারে না। বিশেষ করে কোনও বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে, যাকে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আটক করে।”
পশ্চিমা অন্যান্য দেশগুলোর মতো ফ্রান্সও সম্প্রতি কয়েকমাসে ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা নিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ইরানে চলমান বিক্ষোভে কর্তৃপক্ষের দমনপীড়নের সমালোচনা করেছেন এবং আরও অধিকারের জন্য লড়ে যাওয়া নারীদের সমর্থন দিয়েছেন। ইরানে চলমান অস্থিরতাকে ‘বিপ্লব’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
গত বছর ফ্রান্স জানায়, ইরানে আটক আছে ৭ জন ফরাসি নাগরিক। তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে আটক রাখা হয়েছে বলেই ভাষ্য প্যারিসের। বিষয়টি নিয়ে ইরান-ফ্রান্স সম্পর্কে আরও অবনতিরই লক্ষণ দখা গেছে।
ফ্রান্স গতবছর ৬ অক্টোবরে ইরানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানের ফরাসি নাগরিকদেরকে জিম্মি করার নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স।
তবে এই নিন্দা-সমালোচনার মধ্যেই জানুয়ারিতে দুই ফরাসি এবং এক বেলজিয়ান নাগরিকের বিরুদ্ধে ইরান গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।