সাইবেরিয়ার ইয়েকুতস্কে চলতি সপ্তাহে অস্বাভাবিক দীর্ঘ একটি শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। এটি বিশ্বের শীতলতম শহর হিসেবে পরিচিত।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার পূর্বের এই খনি শহরটির বাসিন্দারা প্রায়ই দেখেন থার্মোমিটারে তাপমাত্রা নিয়মিতভাবেই মাইনাস ৪০ ডিগ্রির অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে।
দুটি স্কার্ফ, দুই জোড়া গ্লভস এবং বেশ কয়েকটি টুপি ও হুডে ভেতর ঢুকে থাকা আনাস্তাসিয়া গ্রুজদেভা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আপনি এর সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন না। আপনাকে মানিয়ে চলতে ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে আর না হলে ভুগবেন।”
বরফের মতো কুয়াশায় আবৃত শহরটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আপনি এই শহরে আসলে ঠাণ্ডা অনুভব করবেন না, অথবা মস্তিষ্ক হয়তো আপনাকে এর জন্য প্রস্তুত করে নেবে আর বলবে, সব কিছু স্বাভাবিক আছে।”
শহরটির আরেক বাসিন্দা নুরগুসান স্তারোস্তিনা মাছের বাজারে জমাটবাঁধা মাছ বিক্রি করেন, তবে এর জন্য তার কোনো ফ্রিজ বা ফ্রিজার লাগে না। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় প্রাকৃতিভাবেই মাছ জমাট বেঁধে যায়।
তিনি জানান, ঠাণ্ডা মোকাবেলার বিশেষ কোনো গোপন পদ্ধতি নেই।
“শুধু গরম কাপড় পড়েন, একের পর এক, অনেকটা বাঁধাকপির মতো!”