শক্তি ছাড়া এককভাবে শুধু কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে কোনো ফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।
Published : 11 Nov 2024, 04:26 PM
ইউক্রেইনে রাশিয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং এ ধরনের সংঘাত ভবিষ্যতে যেন আর না হয় তা নিশ্চিত করতে ‘শক্তি ও কূটনীতিকে একসঙ্গে’ কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রোববার তার রাত্রিকালীন ভিডিও বার্তায় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি যে, শক্তি ছাড়া কূটনীতির কোনও সম্ভাবনা নেই।
“কিন্তু কূটনৈতিক লক্ষ্য সম্পর্কে পরিষ্কার বোঝাপড়া না থাকলে শুধু অস্ত্র দিয়ে কাজটি হবে না। এই কারণেই শক্তি ও কূটনীতিকে হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে।”
দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিতে এবং মস্কো কিইভের বিরুদ্ধে যে রকম যুদ্ধ চালাচ্ছে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এটিই একমাত্র উপায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, জেলেনস্কি নিরলসভাবে ‘ন্যায্য’ পথে যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। পাশাপাশি তিনি কিইভকে অস্ত্র সরবরাহ করা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তি বেছে নিতে বাধ্য করতে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো মিত্রদের কাছে তদ্বির করছেন। ইউক্রেইন শুধু ‘সৎ’ কূটনীতির জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেইন দীর্ঘদিন ধরে তার মিত্রদের কাছে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে আঘাত হানার জন্য দীর্ঘ পাল্লার পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের আবেদন জানিয়ে আসছে। এভাবে মস্কোর অবকাঠামোকে দুর্বল করা যাবে বলে ধারণা তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করার পর রোববার জেলেনস্কি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনি প্রচারকালে ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ ইউক্রেইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। কিন্তু কীভাবে এটি তিনি করবেন সে বিষয়ে কখনোই কিছু বলেননি। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত না করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। তবে ট্রাম্পের এই ফোন কলের বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি বলে কিইভ জানিয়েছে।
ইউক্রেইনে প্রায় আড়াই বছরে ধরে চলা যুদ্ধ এর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করছে বলে মনে করছেন কিছু কর্মর্কর্তা। গত কিছু দিন ধরে রাশিয়ার বাহিনীগুলো সবচেয়ে তীব্র গতিতে সামনে এগিয়ে গেছে। একই সময়ে এ যুদ্ধের পক্ষে না থাকা ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: