বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন বিপজ্জনক: নেটো

বেলারুশকে জিম্মি করে রাশিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছে ইউক্রেইন।

বেলারুশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বহীন’ ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো।

ইউক্রেইন বলছে, রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্ত তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

বেলারুশকে জিম্মি করে মস্কো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মনে করছে ইউক্রেইন।

শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা প্রকাশ করলেও তার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রাখবে বলে জানিয়েছিলেন।

এমনকি এই পদক্ষেপ পরমাণু অপ্রসারণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না দাবি করে পুতিন বলেছেন, “কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে তাদের (পরমাণু) অস্ত্র স্থাপন করেছে। এটা তেমনই।”

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে নেটোর মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণের ঘোষণা এবং দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র মোতায়েনের উদাহরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

“নেটোতে পারমাণবিক অস্ত্রের অংশীদারত্বের বিষয়ে রাশিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নেটো জোট আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির উপর পূর্ণ আস্থা রাখে।”

এ বিষয়ে ইউক্রেইনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান অলেক্সি দানিলভ টুইটারে বলেন, রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্ত বেলারুশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার একটি পদক্ষেপ, যা জনগণকে নেতিবাচক ধারণা দেয়।

“ক্রেমলিন বেলারুশকে জিম্মি করে পারমাণবিক অস্ত্রের ঘাঁটি স্থাপন করছে।”

এদিকে রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তে ওয়াশিংটনের নিজস্ব পারমাণবিক কৌশলে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করছে নেটো। এমনকি পুতিনের এই ঘোষণার পর দেশটি পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমনটাও তারা বিশ্বাস করে না বলেও মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশলগত পারমাণবিক অবস্থানের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার কোনো কারণ দেখিনি।

“আমরা নেটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই পরমাণু অস্ত্রের মজুদ ছিল নতুন জন্ম নেওয়া চারটি স্বাধীন দেশ রাশিয়া, ইউক্রেইন, বেলারুশ ও কাজাখস্তানে । ওইসব পরমাণু অস্ত্রের মজুদ ১৯৯৬ সালের মধ্যেই রাশিয়ায় নিজেদের ভূখণ্ডে স্থানান্তর করে।

সম্প্রতি ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধের জন্য আরও সামরিক সহায়তা চেয়েছেন। এরপরই পুতিন বেলারুশে পারমাণবিক ঘাঁটি স্থাপনের ঘোষণা দেন।