২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
”সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়,” বলেন তিনি।
“বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলও যদি বলে যে, ‘এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা’, তাহলেও সেটা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা জনগণ অনুমোদন করে”, বলেন বিএনপি নেতা।
এবছর জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘এক নম্বর শত্রু রাষ্ট্’ আখ্যা দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। সে পথেই এবার হাঁটলেন তিনি।
“লারমা সংবিধানের মাধ্যমে এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন, যা শ্রেণি এবং জাতিগত বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠে সবার স্বার্থকে সুরক্ষা দেবে,” বলেন পাভেল পার্থ।
“বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে ‘দানবে’ পরিণত করে”, বলেন তিনি।
প্রশাসন, রাজনীতি ও অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি আসছে। এক কথায় যাকে বলা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কার বা রাষ্ট্র মেরামত। সংস্কারের এই আকাঙ্ক্ষাটা দেশের আপামর জনগণেরই।
যারা সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি বলে মনে করেন তাদের যুক্তি হলো, জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের সূচনা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে হলেও এর অন্তর্নিহিত দাবি ছিল রাষ্ট্র সংস্কার।
এ সংশোধনীর মাধ্যমে জেনারেল এরশাদ দুটি উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে চেয়েছিলেন; প্রথমত ইসলামের নাম ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ধর্মভীরু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন আদায় এবং দ্বিতীয়ত, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তার সরকারের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে দেয়া।