০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১
‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তিযুদ্ধের গল্প, কিন্তু একইসঙ্গে আবেগময় এক প্রেমকাহিনী, যেখানে ভয়, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগ মিলে মিশে গেছে।
সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকার এক মর্মস্পর্শী চিত্র। একজন মা নিজের সন্তানকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দিয়ে, লুকিয়ে রাখেন দুই মুক্তিযোদ্ধাকে—এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনার ভিত্তিতেই রচিত হয় এই উপন্যাস।
“উপন্যাসটিতে পাকিস্তানিদের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাবও দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দোকানির ইয়াহিয়া খানের ছবিতে থুতু দিয়ে মোছা আর পাকিস্তানের প্রতি এক ভিক্ষুকের গালি সেটিই স্পষ্ট করে। এটি একাত্তরের চেতনায় সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার স্মরণীয় উপন্যাস।”
“এখানে স্বজন হারানোর বেদনা যেমন আছে, তেমনি আছে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বপ্ন হারানোর হাহাকার।”
সৈয়দ শামসুল হক ‘নাটকের করণকৌশল’ লেখায় বলেছেন, “…লন্ডনের ইস্টিশানের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে মনে মনে রচনা করে চলি ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’।”
‘উপন্যাসটি নন্দনতাত্ত্বিক জায়গা থেকে চমৎকার হলেও ভাবাদর্শিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে সন্তোষজনক নয়’ বলে মনে করেন কোনো কোনো সাহিত্যবোদ্ধা।
গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা হলেও তার মর্মার্থ সকল সময়ের সকল মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে কথা বলে।
একুশে পদক পাওয়া আবৃত্তিশিল্পী ও শিক্ষক ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাপ্রাপ্তি যে অনেক কষ্টের অর্জন- তারই ছন্দময় আবেগের প্রকাশ হলো ‘স্বাধীনতা তুমি’।”