জিমেইল সেবায় আলাদা স্প্যাম ফোল্ডার থাকলেও বিজ্ঞাপনী ইমেইলগুলো সরাসরি প্রাপকের ইনবক্সে পাঠাচ্ছে গুগল। অথচ, উৎস যাই হোক, একটি অযাচিত বিজ্ঞাপনী মেইল মানেই স্প্যাম।
Published : 25 Aug 2022, 04:11 PM
জিমেইলের মাধ্যমে স্প্যাম ইমেইল পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে গুগলের বিরুদ্ধে। ফ্রান্সের এক ডেটা প্রাইভেসিবিষয়ক অলাভজনক সংস্থার দাবি, ইউরোপিয়ান আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গুগল সাধারণ ইমেইলের ছদ্মবেশে জিমেইল ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপনী বার্তা পাঠাচ্ছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘ফ্রেঞ্চ ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি (সিএনআইএল)’-এর কাছে গুগলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে ‘নান অফ ইওর বিজনেস (এনওওয়াইবি)’ নামের একটি সংস্থা।
সংস্থাটির দাবি, গুগলের এই বিজ্ঞাপনী প্রচারণা কৌশল ইউরোপিয়ান আদালতের ২০২১ সালের একটি রায়ের বিরোধী। ওই রায়ে আদালত বলেছিল, ‘সরাসরি বিপণন ইমেইল’ হিসেবে বিবেচিত হবে বিজ্ঞাপনী ইমেইল এবং সেবাগ্রাহকের কাছে পাঠানোর আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে গুগলের প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রযুক্তি জায়ান্ট কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
এনওওয়াইবি দাবি করছে, জিমেইল সেবায় আলাদা স্প্যাম ফোল্ডার থাকলেও, বিজ্ঞাপনী ইমেইলগুলো সরাসরি প্রাপকের ইনবক্সে পাঠাচ্ছে গুগল। সংস্থাটির মতে, উৎস যাই হোক না কেন, একটি অযাচিত বিজ্ঞাপনী ইমেইল মানেই স্প্যাম।
এ প্রসঙ্গে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এনওওয়াইবির আইনজীবী রোমেইন রবার্ট বলেন, “ব্যাখ্যাটি খুবই সহজ। স্প্যাম হচ্ছে বাণিজ্যিক ইমেইল যা প্রাপকের অনুমতি ছাড়াই পাঠানো হয়; এবং এটি বেআইনি। ইমেইল সেবাদাতা পাঠাচ্ছে বলেই আইনি বৈধতা পায় না স্প্যাম।”
এখনও গুগলের জন্য আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে এর বিজ্ঞাপনী সেবা। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সাত হাজার কোটি ডলার আয়ের প্রত্যাশা ছিল গুগলের মূল কোম্পানিটি অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের। তবে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বলছে, প্রত্যাশার চেয়ে আয় কমেছে ৩০ কোটি ডলার।
এর মধ্যে পাঁচ হাজার ছয়শ ৩০ কোটি ডলার এসেছে বিজ্ঞাপনী খাত থেকে।
অন্যদিকে সিনেটের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, গুগলের ফ্রান্সের সিএনআইএলের টার্গেট হওয়ার প্রথম ঘটনা নয় এটি। বছরের শুরুতেই গুগলকে ১৫ কোটি ইউরো জরিমানা করেছিল ডেটা প্রাইভেসি পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।