তারা ১০ ধরনের পেপারওয়ার্কের পাশাপাশি মাইক্রো গ্রাভিটি ও সুপারসনিক সাউন্ড সিস্টেমের উপর ১১টি প্র্যাক্টিক্যাল কাজ হাতেকলমে শিখেছে।
Published : 23 Jul 2023, 09:15 PM
মাইক্রোগ্র্যাভিটি কী, সুপারসনিক সাউন্ড সিস্টেম কাকে বলে – এরকম নানা খটমটে বিষয় হাতেকলমে শিখেছে প্রায় একশ’ শিশু। আর সেইসঙ্গে ১১ রকমের বিষয় নিয়ে ব্যবহারিক ক্লাসও করেছে তারা। আর এর সবই হয়েছে সম্প্রতি আয়োজিত “নাসা জুনিয়র পাইলট প্রোগ্রামে”।
শিশু-কিশোরদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের মতো বিষয়কে হাতেকলমে দেখিয়ে তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্যই শনিবার অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের কথা জানিয়েছে আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহায়তায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপটিতে সারা দেশের ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় একশ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। আয়োজনটিতে বাচ্চারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০ ধরনের পেপারওয়ার্কের পাশাপাশি মাইক্রো গ্রাভিটি এবং সুপারসনিক সাউন্ড সিস্টেম এর উপর ১১টি প্রাক্টিক্যাল কাজ হাতেকলমে শিখেছে বলে জানান আয়োজকরা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। তিনি বলেন, “আমাদের শিশুরা খুবই মেধাবী। এখন থেকেই আমরা তাদেরকে যদি সঠিক গাইডলাইন দিতে পারি, তাহলে এদের মধ্য থেকেই আমরা আমাদের ভবিষৎ বিজ্ঞানীদের দেখতে পাব।”
আয়োজকদের পক্ষ থেকে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর ক্রু চিফ আরিফুল হাসান অপু বলেন, “সারাদেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিজ্ঞানচর্চাকে আরও উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ সামনেও অব্যাহত থাকবে”।
আয়োজনটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ‘মোস্ট ইন্সপিরেশন’ ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’ কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
আয়োজনটিতে নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিল ক্রিয়েটিভ জুনিয়র এবং ইভেন্ট পার্টনার ইভেন্ট ফ্লুয়েন্ট এবং ই-টিকেটিং পার্টনার ই-সফট।