ক্রিপ্টো খাতে প্রথম বৈশ্বিক নীতিমালা প্রস্তাব পর্যবেক্ষক সংস্থার

এখন পর্যন্ত এই সেক্টর কেবল মানি লন্ডারিং আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইনে ভিন্নতা রয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2023, 01:39 PM
Updated : 23 May 2023, 01:39 PM

এফটিএক্স ধসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্রিপ্টো সম্পদ ও ডিজিটাল বাজার খাত নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রথম বৈশ্বিক প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছে এই খাতের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিস কমিশনস (আইওএসসিও)’।

এই সেক্টরের বিভিন্ন কোম্পানি এই খাতে বৈশ্বিকভাবে গ্রহনযোগ্য নীতিমালা তৈরির তাগিদ দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত এই সেক্টর কেবল মানি লন্ডারিং আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইনে ভিন্নতা রয়েছে।

গত নভেম্বরে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স যুক্তরাষ্ট্রে দেউলিয়া হওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার পর সংস্থাটির এই পদক্ষেপ এলো। এফটিএক্স-এর ঘটনার আগে সৃষ্ট তারল্য সংকটে বিশ্বের বেশ কিছু নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই খাতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

মঙ্গলবার ঘোষিত এই প্রস্তাবনাকে বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা ও বাজার অখণ্ডতার দৃষ্টিকোণ থেকে ‘স্পষ্ট ও আনুমানিক ঝুঁকিগুলোর জন্য টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ‘আইওসসিও’ প্রধান জন-পল সার্ভেইস।

প্রস্তাবিত মানদণ্ডে মতপার্থক্য, বাজার কারসাজি, আন্তঃসীমানা নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে সহযোগিতা, ক্রিপ্টো সম্পদ হেফাজত, কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি ও খুচরা গ্রাহকদের সঙ্গে আচরণের মতো বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।

ক্রিপ্টো লেনদেনের বিভিন্ন অংশে থাকা মতপার্থক্য নিরসনে মূলধারার বাজারে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগের কথা উল্লেখ রয়েছে পরিকল্পিত এই ১৮টি মানদণ্ডে।

নজরদারি সংস্থাটি বলেছে, এই বছরের শেষ নাগাদ এইসব মানদণ্ড চূড়ান্ত হবে। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী সংস্থাটির ১৩০টি সদস্যদেশ নিজস্ব নীতিমালায় থাকা বিভিন্ন ফাঁকফোকর নিরসনে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’, জাপানের ‘ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এজেন্সি’, ব্রিটেনের ‘ফিন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি’ ও জার্মানির ‘বাফিন’-এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়কারী দল আইওএসসিও মূলত প্রবিধানগুলো নিয়ে জনমতের প্রচারণা চালাচ্ছে।

এই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের প্রথম বিস্তৃত নীতিমালা চুড়ান্তকরণের পরপরই সংস্থাটির এই পদক্ষেপ এলো। আর এটি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র’সহ অন্যান্য দেশের ওপরও নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়নের চাপ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।