জাপানের চিপ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর

সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জাপানের কার্যক্রমকে এমন এক ‘ভুল’ হিসেবে আখ্যা দেন, যা আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক নীতিমালাকে ‘গুরুতরভাবে লঙ্ঘন’ করে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2023, 08:20 AM
Updated : 29 May 2023, 08:20 AM

সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানিতে জাপানের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।

সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে ওয়াং জাপানের কার্যক্রমকে এমন এক ‘ভুল’ হিসেবে আখ্যা দেন, যা আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক নীতিমালাকে ‘গুরুতরভাবে লঙ্ঘন’ করে।

২৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে আয়োজিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপিইসি)’ সম্মেলনে জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে ওয়াংয়ের আলোচনার সময় এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সর্বশেষ নিন্দা জানাল চীন।

জানুয়ারিতে চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে একমত হয় জাপান ও নেদারল্যান্ডস, যা চীনের কাছে বিশেষ কিছু ধরনের চিপ যন্ত্রাংশ বিক্রিতে খড়্গ নামাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। এর পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশটিতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ২৩ ধরনের যন্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাপান।

পারমাণবিক অস্ত্র ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা বিকাশে চীনের সুপারকম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের গতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গত বছর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।

জাপান নিজেদের বক্তব্যে এককভাবে কেবল চীনকে উল্লেখ করে রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেনি। দেশটি বলছে, তারা কেবল আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখার উদ্দেশ্যে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে।

সোমবারের বিবৃতিতে চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য খাতগুলোয় ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রচারণার লক্ষ্যে জাপানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন।

শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডোর সঙ্গে দেখা করেন নিশিমুরা। বৈঠকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত চিপ এবং প্রযুক্তির গবেষণা ও বিকাশে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আরও ‘গভীর করতে’ রাজি হন দুজন।

এদিকে, সম্মেলন চলাকালীন রাইমন্ডো ও যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মুখপাত্র ক্যাথেরিন টাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন ওয়াং। সে সময় চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিরও সমালোচনা করেন তিনি। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক’-এর বিষয়টিও উঠে আসে, যা চীনের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র-কেন্দ্রিক বিকল্প রাখার সুযোগ দেয় ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে।

এই মাসে ‘চীনকে একঘরে করতে নয়, বরং তাদের পক্ষ থেকে আসা ঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে’ চিপ থেকে শুরু করে খনিজ পর্যন্ত প্রায় সকল কিছুর ওপর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশটির প্রাপ্যতা কমিয়ে আনতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জি৭’র শীর্ষ দেশগুলো।