স্প্যাম মেইল ব্যবহারকারীর ইনবক্সে পৌঁছানোর আগেই একে বিভিন্ন ট্র্যাকারের কাছ থেকে সরিয়ে ফেলে ডাকডাকগো।
Published : 27 Aug 2022, 06:03 PM
ব্যবহারকারীর অনলাইন সুরক্ষায় নিজেদের ‘ইমেইল প্রোটেকশন’ সেবা চালু করেছে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন ডাকডাকগো। গত বছর গোপনে সেবাটির বেটা সংস্করণ চালু করেছিল কোম্পানিটি।
ইমেইল প্রোটেকশন এমন একটি সেবা, যেখানে ব্যবহারকারীকে ‘@duck.com’ নামে একটি বিনামূল্যের ইমেইল ঠিকানা দেয় ডাকডাকগো। এ ছাড়া, ব্যক্তিগত ইনবক্সে ‘ইমেইল ট্র্যাকার’ পৌঁছানোর আগেই তাতে বাধা দেয় সেবাটি।
বিভিন্ন কোম্পানির পাঠানো স্প্যাম থেকে ব্যবহারকারীর ‘আসল’ ইমেইল ঠিকানা সুরক্ষায় সেবাটি তাকে একটি গোপন ‘ডাক’ ইমেইল ঠিকানা দেয়।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সব বার্তা ব্যবহারকারীর ইনবক্সে পৌঁছানোর আগেই একে বিভিন্ন ট্র্যাকারের কাছ থেকে সরিয়ে ফেলে ডাকডাকগো। ব্যবহারকারীর লোকেশন, তিনি কখন ইমেইল খুলেছেন ও কখন ডিভাইসটি ব্যবহার করেছেন, এমন সব বিষয়ে নজরদারি করে এই সব ট্র্যাকার।
সার্চ ইঞ্জিনটি মোট কয়টি ট্র্যাকার সরিয়েছে ও কোন কোম্পানিগুলো এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেটির বিবরণীও প্রকাশ করেছে ডাকডাকগো।
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ‘ডাক’ ঠিকানায় পছন্দের নাম বাছাইয়ের সুযোগ দিয়েছে সার্চ ইঞ্জিনটি। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ‘[email protected]’।
গোপন ‘ডাক’ ঠিকানার ক্ষেত্রে এই সুরক্ষা আরও একধাপ এগিয়ে, যেখানে প্রতিবার ইমেইল ফর্ম পূরণের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নতুন এমন ঠিকানা তৈরি করে ডাকডাকগো যেটি ওয়েব বটের পক্ষে অনুমান করা কঠিন হয়। উদাহরণ হিসেবে ভার্জ বলছে, ‘[email protected]’ ঠিকানার কথা।
গোপন ‘ডাক’ ঠিকানা ব্যবহারের সময় প্রতিবারই নতুন করে অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হয় ব্যবহারকারীকে। এই কারণে ‘অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং’ তুলনামূলক কঠিন হয়ে যায় বিভিন্ন কোম্পানির জন্য।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনো ব্যবহারকারীর কাছে অনেক বেশি সংখ্যক স্প্যাম এলে নিজের প্রতিটি গোপন ঠিকানাই নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেন তিনি।
বর্তমানে সকলের জন্যেই সেবাটির বেটা সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে ডাকডাকগো। এতে নতুন কিছু ফিচারও যোগ করছে কোম্পানিটি, যার একটি হচ্ছে ‘লিংক ট্র্যাকিং প্রোটেকশন’ ফিচার। ছবি সহ ইমেইলে ‘এমবেড করা’ বিভিন্ন ট্র্যাকার সরিয়ে ফেলে ফিচারটি।
এনক্রিপশনের কথা বিবেচনায় এনে আরেরকটি তুলনামূলক ‘বুদ্ধিমান’ ফিচার চালু করছে কোম্পানিটি, যা এনক্রিপশনবিহীন একটি ‘http://’ সংযোগকে সুরক্ষিত ‘https://’ লিংকে রূপান্তর করে। একটি ‘এইচটিপিপিএস’ ইউআরএল ব্যবহারকারীর কার্যক্রম নজরদারিতে বাধা প্রদান করে হ্যাকার ও ইন্টারনেট সেবাদাতাদের।
বর্তমানে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ সাইট সমর্থন করে এনক্রিপশন ফিচারটি।