কানাডার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় সাইবার আক্রমণের মাত্রা বেড়েছে, যা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশটির অর্থনীতিকে বড় ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
গত মাসে ‘ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট’ সতর্কবার্তা দিয়েছে, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইনের পাশাপাশি বিভিন্ন রেল ব্যবস্থায় সাইবার আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা আছে চীনের। এর আগে গবেষকরা খুঁজে পান, এই ধরনের নেটওয়ার্কগুলোয় গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে চীনা এক হ্যাকার দল।
সিঙ্গাপুরে আয়োজিত এক নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনিতা আনান্দ বলেন, গোটা উত্তর আমেরিকাতেই সাইবার হামলা বেড়েছে।
“আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোয় এমন আক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। আর কানাডীয় বিভিন্ন সংস্থা ও কোম্পানিকে এর বিপরীতে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করছি আমরা।”
“এইসব ঝুঁকি আমাদের অর্থনীতি ও নাগরিক সুরক্ষা দেওয়া ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।”
কানাডা এমন বেশ কিছু সংখ্যক বড় তেলের পাইপলাইনের আতুরঘর, যেগুলো বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহের বেলায় গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, দেশটিতে বড় ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘এক্সন মোবিল’ ও ‘রয়াল ডাচ শেল’-এর মতো আন্তর্জাতিক খনিজ তেল কোম্পানিগুলো।
‘সাংরি-লা ডায়ালগ’ নামে পরিচিত এশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা বৈঠকে কথা বলেন আনান্দ। আর এই বৈঠকে আলোচনার মূল কেন্দ্রে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়টি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোর বিরুদ্ধে বেইজিং ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্মুক্ত বিভাজনের উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনকে ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন চীনা সামরিক কর্মকর্তারা।
“চীনের ক্ষেত্রে আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। তারা ক্রমাগতই বিঘ্ন সৃষ্টিকারী এক বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।” --চীনের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন আনান্দ।