বিলটি আইনে পরিণত হলে মা-বাবা অথবা শিশুদের নয় বরং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে বয়স-যাচাই পরীক্ষা ও এ বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।
Published : 27 Nov 2024, 02:35 PM
অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে ১৬’র কম বয়সী শিশুদের সোশাল মিডিয়া ব্যবহার ঠেকানোর লক্ষ্যে আনা বিল এখনই পাশ না করার অনুরোধ করেছে দুই টেক জায়ান্ট গুগল এবং ফেইসবুক-মালিক মেটা প্ল্যাটফর্মস। এ বিলের সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে দাবি কোম্পানি দুটির।
এদিকে, পার্লামেন্টারি বছরের শেষ দিন বৃহস্পতিবারের আগেই বিল পাস করে আইন তৈরি করতে চান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিস। শিশুদের সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার রোধে এটি এখন পর্যন্ত যে কোনোও দেশের আরোপ করা সবচেয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিলটি গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার পর আলোচনার জন্য কেবল একদিনেরই সময় ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
গুগল ও মেটা মতামতে বলেছে, বিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে বয়স-যাচাই পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা উচিত সরকারের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বয়স বেঁধে দেওয়ার জন্য বয়স-যাচাই পদ্ধতিতে বায়োমেট্রিক্স বা সরকারি শনাক্তকরণ ব্যবস্থা থাকতে পারে।
“এই ধরনের ফলাফল না দেখে, এ খাতের কেউ বা অস্ট্রেলিয়ান কেউই বিলের জন্য প্রয়োজনীয় বয়সের নিশ্চয়তা বা অস্ট্রেলিয়ানদের ওপর এ পদক্ষেপের প্রভাব বুঝতে পারবে না।” – বলেছে মেটা।
“বর্তমান অবস্থায় বিলটির কার্যকারিতা কম।”
বিলটি আইনে পরিণত হলে মা-বাবা অথবা শিশুদের নয় বরং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে বয়স-যাচাই পরীক্ষা ও এ বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। আর এটি লঙ্ঘনের ফলে কোম্পানিগুলোকে অন্তত তিন কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল লিবারেল পার্টি বিলটিকে সমর্থন করবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। তবে, এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে গিয়ে সরকার তাড়াহুড়া করছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন স্বতন্ত্র জনপ্রতিনিধি।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ আইনের দায়িত্বে থাকা সিনেট কমিটি মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স মালিকানাধীন টিকটক বলেছে, বিলটি যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, সোশাল মিডিয়া, মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা ও তরুণদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই বিলটি পাস করতে চাওয়ায় সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে কোম্পানির ‘উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ রয়েছে’, বলেছে টিকটক।
বিলটি শিশু ও তরুণদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্য অ্যাক্সেসের অধিকার ও মানবাধিকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স।
গত সপ্তাহেই মার্কিন ধনকুবের মাস্ক অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, “অন্যায্যভাবে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করার টুল মনে হচ্ছে বিলটিকে।”