উ. কোরিয়ার সাইবারকাণ্ডে শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দ. কোরিয়ার

যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত দেশটির অস্ত্র কর্মসূচীতে হ্যাকারদের মাধ্যমে চুরি করা ক্রিপ্টোমুদ্রা অর্থায়নের একটি বড় উৎস।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2023, 10:48 AM
Updated : 8 April 2023, 10:48 AM

বিভিন্ন সমরাস্ত্র প্রকল্পে অর্থায়নে উত্তর কোরিয়ার ‘ক্ষতিকর’ সাইবার কার্যক্রম নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের উদ্বেগের বিষয়টি জানায় দেশ তিনটি।

যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত দেশটির অস্ত্র কর্মসূচীতে হ্যাকারদের মাধ্যমে চুরি করা ক্রিপ্টোমুদ্রা অর্থায়নের একটি বড় উৎস।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যেই, এই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে মার্কিন ও জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দেশটির পারমাণু কর্মকর্তা। পাশাপাশি, তারা বিচ্ছিন্ন দেশটির অস্ত্র পরীক্ষারও নিন্দা জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

“আমরা উদ্বেগের সঙ্গে বলছি, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর জন্য আর্থিক তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘উত্তর কোরিয়ার আইটি’র বিদেশী কর্মীরা জাল পরিচয় ও জাতীয়তা ব্যবহার করে যাচ্ছে।” -- যৌথ বিবৃতিতে বলেছে দেশ তিনটির প্রতিনিধিরা।

“উত্তর কোরিয়া কীভাবে অর্থ চুরি ও পাচারের পাশাপাশি ক্ষতিকর সাইবার কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এইসব কর্মসূচী সমর্থন করে, ওই বিষয়টি নিয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের নিজ মাটিতে প্রত্যাবাসনের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালা মেনে চলতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে অনুরোধের বিষয়টিও উঠে আসে বিবৃতিতে।

কোরীয় উপদ্বীপে এখন উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী। মার্চ থেকেই যৌথভাবে নিজেদের বার্ষিক বসন্তকালীন সামরিক মহড়ার সিরিজ পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

এই সামরিক কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহে নিজেদের সামরিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে পিয়ংইয়ং। বিভিন্ন নতুন ও আকারে তুলনামূলক ছোট পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি দেশটি এমন এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।

এইসব অনুশীলন ও পরীক্ষা চলতে থাকায় কঠোর বাক্যবিনিময় হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া অভিযোগ তোলে, ওয়াশিংটন ও সিউল নিজেদের সামরিক মহড়ার মাধ্যমে এই উত্তেজনাকে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান পরমাণু আলোচক কিম গান বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক লক্ষ্যমাত্রা ‘আত্মঘাতি বুমেরাংয়ের চেয়ে বেশি কিছু নয়’, যা দেশটির অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে।

“উত্তর কোরিয়া নিজ জনগণকে এই বলে বিভ্রান্ত করছে যে, পারমাণবিক অস্ত্র একটি জাদুর কাঠি, যা সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে।” -- শুক্রবার মার্কিন ও জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচালিত বৈঠকে বলেন কিম।

শুক্রবার মানবিক কারণ ব্যতীত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জাপান।