পরীক্ষাটি ‘ওয়েট ড্রেস রিহার্সাল’ নামে পরিচিত। রকেটটির পরীক্ষা সোমবার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পেছানোর ঘোষণা নিজস্ব ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টে দিয়েছে নাসা।
মোবাইল লঞ্চারের ওপরই উৎক্ষেপণের আগ পর্যন্ত রকেট অবস্থান করে। উৎক্ষেপণের গোটা চাপটিই এর ওপর এসে পড়ে। ফলে লঞ্চারের নিজেরও পাল্টা চাপ তৈরি করতে হয় যেটি অনেকগুলো ফ্যানের সাহায্যে তৈরি হয়। এর আরও একটি কাজ হলো উৎক্ষেপণের সময় বেরিয়ে আসা গ্যাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা। এই গোটা প্রক্রিয়াটিই রকেট উৎক্ষেপণের জন্য অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটায় জ্বালানি লোড করার প্রক্রিয়া নিরাপদে চালাতে পারেননি নাসার কারিগরি দল।
উক্ষেপণের সকল ধাপ পেরোতে হয় বলে এ ধরনের ‘ড্রেস রিহার্সাল’কে ‘ওয়েট’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩২২ ফুট উঁচু রকেটে সাত লাখ গ্যালন ‘প্রপেলান্ট’ দিয়ে ভরাট করার বিষয়টিও আছে।
“নাসার দল সমস্যাটি সমাধান করতে এখন লঞ্চপ্যাডে রয়েছে।”-- রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে নাসা।
ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ১ এপ্রিল শুরু হওয়া পরীক্ষাটি রোববার নাগাদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নাসা বলছে, সোমবার থেকে ‘ওয়েট ড্রেস রিহার্সাল’টি আবার চলবে।
এরই মধ্যে বৈরি আবহাওয়াও আঘাত হানে শনিবার রাতে। ‘এসএলএস’ লঞ্চপ্যাডের চারপাশের টাওয়ারে বজ্রপাত হয়। নাসার বাজ সুরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী বজ্রপাত ছিল বলে দাবি করেছেন নাসার ‘এক্সপ্লোরেশন গ্রাউন্ড সিস্টেম’(ইজিএস) -এর উপ পরিচালক জেরেমি পারসনস।
“ব্যবস্থাটি খুব ভালোভাবে কাজ করেছে এবং ‘এসএলএস’ ও ‘ওরিয়ন’কে নিরাপদ রেখেছে।”
‘আর্টেমিস’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, ওরিয়ন নভোযানকে চাঁদে ‘আর্টেমিস ১’ নামের এক যাত্রীবিহীন অভিযানে পাঠানোর কথা এসএলএস-এর। সেই অভিযানটি এই গ্রীষ্মেই চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।