এ মাসের শেষের দিকে মার্কিন বাজারে আসবে গ্যালাক্সি এস২২ আলট্রা। তার আগে ফোন দুটিকে হাতে নিয়ে যেহেতু তুলনার সুযোগ নেই, আসুন প্রতিষ্ঠানদুটির দেওয়া তথ্য অনুসারে যাচাই করে মিলিয়ে দেখা যাক কোন ফোনে কী আছে বা নেই।
এই তুলনার প্রথম ধাপে আজ থাকছে ফোন দুটির নকশাভিত্তিক তুলনা-
দুটি ফোনই আপনার পকেটের শত্রু! একটি হিসাব তো সহজেই বোঝা সম্ভব যে দুটি ফোনই ক্রেতার পকেট কাটবে। তবে, আরও একটি বিষয় রয়ে গেছে। ফোন দুটিকে পকেটে আঁটানো এক ঝক্কি হতে যাচ্ছে। আকারে এদের দুজনই বিশাল!
গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’র আকার ১৬৩ x৭৭.৯ x ৮.৯ মি.মি। অপরদিকে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স-এর আকার ১৬০.৮ x ৭৮.১ x ৭.৬৫ মি.মি। এর মানে হচ্ছে স্যামসাং ফোনটি তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় যথেষ্টই দীর্ঘ ও মোটা, কিন্তু চওড়ায় সামান্য কম।
তবে স্যামসাংয়ের ফোনটি তুলনামূলকভাবে সামান্য হালকা। আইফোন ১৩ প্রো-এর ২৩৮ গ্রামের তুলনায় ২২৯ গ্রাম ওজনের। চুলচেড়া বিশ্লেষণ ছেড়ে দিন, দুটি ফোনই যথেষ্ট ভারী।
আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ভারী হওয়ার কারণ সম্ভবত ফ্রেমে স্টেইনলেস স্টিলের ব্যবহার। স্যামসাং অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছে। অ্যালুমিনিয়াম হালকা তবে স্টিল ফ্রেম বেশি মজবুত এবং ফোনটিকে ‘প্রিমিয়াম’ চেহারা দেয়।
নান্দনিকতার দিক থেকে ফোন দুটকে অবশ্য তুলনার সুযোগ কম। গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা গ্যালাক্সি এস২২ রেঞ্জের বাকি ফোনগুলোর তুলনায় কিছুটা বাকসো আকৃতির। ফোনের মাথার দিক আর নিচের দিক সমতল, কিন্তু এর কিনারাগুলো বাঁকানো।
অন্যদিকে, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স-এর ডিসপ্লেতে বাড়তি কোনো বিশেষণই খাটবে না, এটি স্রেফ ‘ফ্ল্যাট’, আর কিনারাগুলোও একেবারে ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো।
এটি গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ফোনটির পেছন দিকে পুরোই সমতল। কোনো ক্যামেরা মডিউল ফোনের পেছনের পৃষ্ঠ ছেড়ে মাথা বাড়ায়নি। অন্যদিকে, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর ক্যামেরা মডিউলগুলো পেছনের পৃষ্ঠ থেকে উঁচু হয়ে থাকে। অনেকের মতেই এটি ফোনের ‘অতিসরল’ নকশাকে খানিকটা হলেও নষ্ট করেছে।
উভয় ফোনেরই রয়েছে আইপি৬৮ রেটিং। তাই ধুলোময়লা বা হাত ফসকে পানিতে পরে গেলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
ফোন দুটির নকশায় আরও একটি পার্থক্যের কথা এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই অনুচিত হবে, এটি সামনের ক্যামেরার অবস্থান। গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা একটি ছোট্ট হোল-পাঞ্চ নচ রয়েছে। অপরদিকে আইফোন ১৩ প্রোতে একটি সম্পূর্ণ নচ ডিসপ্লের বড় অংশ দখল করে আছে।