এবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় চায়না ইউনিকম
প্রযুক্তি ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 28 Jan 2022 01:24 PM BdST Updated: 28 Jan 2022 01:24 PM BdST
-
ছবি: রয়টার্স
জাতীয় নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কাকে কারণ দেখিয়ে সর্বশেষ চীনা টেলিকম জায়ান্ট হিসেবে চায়না ইউনিকমকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নির্দেশনা অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেলিকম পরিষেবা সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।
টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন’ (এফসিসি) বলছে, চীনা প্রতিষ্ঠানটির আমেরিকান ইউনিটের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমোদন বাতিল করার পক্ষে সর্বসম্মত ভোট মিলেছে।
এর আগে অক্টোবরে চীনা অপর প্রতিষ্ঠান চায়না টেলিকমের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার লাইসেন্স বাতিল হয়।
এফসিসি চেয়ারম্যান জেসিকা রোজেনওরেল এক বিবৃতিতে বলেন, “দিন দিন প্রমাণের স্তুপ জমছে এবং এর ফলে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে যে, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার জন্য একটি মূর্তিমান হুমকি।”
বিবিসিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে চায়না ইউনিকম বলেছে, তাদের আমেরিকান ইউনিটের “গত দুই দশকে সংশ্লিষ্ট মার্কিন আইন ও প্রবিধান মেনে চলার এবং গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবা ও সমাধান দেওয়ার ভালো রেকর্ড রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও উল্লেখ করে, “চায়না ইউনিকম (হংকং) লিমিটেড পরিস্থিতির উন্নয়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।”
ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে বিবিসির কাছ থেকে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
চীনা প্রযুক্তি এবং টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রশ্নে মার্কিন কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষর করা এক আইন নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন টেলিকম যন্ত্রাংশ লাইসেন্স পাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
‘সিকিওর ইকুইপমেন্ট অ্যাক্ট’ নামে ওই আইনের অধীনে, হুমকি হিসাবে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানগুলির আবেদন এফসিসি’র পর্যালোচনা করা উচিত নয়। এর মানে হচ্ছে, হুয়াওয়ে, জেডটিই এবং আরও তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রাংশ মার্কিন টেলিকম নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়াও গত নভেম্বরে মার্কিন সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্রনীতির উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় আরও এক ডজন চীনা কোম্পানির নাম যোগ করেছে।
ওয়াশিংটনের দাবি, এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান চীনা সামরিক বাহিনীর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রোগ্রাম তৈরিতে সহায়তা করছে।
গত অক্টোবরে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা তুলে চায়না টেলিকমের মার্কিন লাইসেন্স বাতিল করে দেয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটির ওপর চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ তাদের “মার্কিন নেটওয়ার্কে প্রবেশ, সঞ্চয়, বিঘ্ন ঘটানো এবং/অথবা ভুল পথে চালিত করার” সুযোগ করে দিয়েছে।
এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক ক্রিয়াকলাপে জড়িত” হওয়ার সুযোগ এনে দিতে পারে।
২০১৯ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম জায়ান্ট চায়না মোবাইলেরও মার্কিন লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
-
সাগরতলের ইন্টারনেট কেবল চিহ্নিত করবে ভূমিকম্প
-
কানাডার ‘ফাইভ জি’ নেটওয়ার্কে নিষিদ্ধ চীনের হুয়াওয়ে-জেডটিই
-
বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার মাস্কের
-
গেইমিংয়ে নজর টিকটকের, পরীক্ষা চলছে ভিয়েতনামে
-
অতঃপর ‘জানা গেল’ কবে আসবে আইফোন ১৪
-
রাশিয়া থেকে কর্মীদের বের করে এনেছে গুগল
-
‘হাউড্রোজেন চালিত’ গাড়ি দেখালো ফরাসী ব্র্যান্ড রেনো
-
বাফেলোর হত্যাযজ্ঞে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা তদন্তের নির্দেশ আদালতের
সর্বাধিক পঠিত
- স্বর্ণ উদ্ধার করে মাদকের মামলা: চাকরি গেল এসপি আলতাফের
- শিক্ষক হতে এসে ফিরলেন তারা লাশ হয়ে
- নাঈমের বিকল্প ভাবনায় কয়েকজন
- ফাইনালের আগে আবারও রিয়ালের হোঁচট
- মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ‘পোশাকে আপত্তি তুলে’ তরুণী লাঞ্ছিত নরসিংদী স্টেশনে
- ওভারে ৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৯ বলে ফিফটি মইনের
- ‘গণকমিশনের' নামে বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও তৃপ্তিদায়ক ইপিএলের শিরোপা!
- ‘এভারটনের ইতিহাসে এটা বিশেষ রাত’