সিসিলিতে এক বছর ‘বিনামূল্যে’ থাকার সুযোগ দিচ্ছে এয়ারবিএনবি

সুযোগটি পেতে হলে আগে নির্বাচিত হতে হবে কারণ, কেবল একজনই পাবেন এই সুযোগ। আর সুযোগ পেলে তিনি পরিবার, বন্ধু বা সঙ্গী নিয়ে একটি বছর কাটিয়ে দিতে পারবেন নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা একটি বাড়িতে। বিনা পয়সায়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2022, 08:16 AM
Updated : 24 Jan 2022, 08:16 AM

তবে হ্যাঁ, বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে যেমন তারকা চিহ্ন দিয়ে বলা থাকে ‘শর্ত প্রযোজ্য’, তেমনটি আছে এই ‘মন ভরানো’ সুযোগেও। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রায় ছয় হাজার জনসংখ্যার এই গ্রামটিকে পর্যটনের দিক থেকে আকর্ষণীয় করে তোলা।

করোনাভাইরাস মহামারীর ঠিক আগে ২০১৯ সালে ইতালির দক্ষিণের দ্বীপ সিসিলির একটি গ্রাম পত্রপত্রিকার শিরোনাম হয়ে ওঠে মাত্র এক ইউরোতে বাড়ি কেনার সুযোগ দিয়ে। বাংলাদেশি মুদ্রায় একশ’ টাকার সামান্য বেশি মূল্যে একটি গোটা বাড়ি কেনার সুযোগ ঘোষণা করে সিসিলির গ্রাম ‘সামবুকা দি চিচিলিয়া’ বা সিসিলির সামবুকা। শর্ত ছিল, বাড়িটি কেনার পর ফেলে রাখা যাবে না, সংস্কার করতে হবে নিজ খরচে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস জানাচ্ছে, সামবুকা গ্রামের ওই সুযোগ নিয়ে একটি বাড়ি নিনে নিয়েছিল এয়ারবিএনবি।

এক ইউরোতে বাড়ি কিনে সেটির সংস্কারও করেছে এয়ারবিএনবি। বাড়ি ভাড়ার এই সফল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে যারা খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন, প্রতিষ্ঠানটি নিজে কোনো থাকার জায়গা বা হোটেল, মোটেল পরিচালনা করে না। আর এখানেই আসছে বাড়িটিতে বিনা খরচে থাকার সুযোগের বিষয়টি।

যিনি এক বছর বিনা খরচে থাকার সুযোগ জিতবেন, তিনি একইসঙ্গে এক বছরের জন্য তিন তলা বাড়িটির কেয়ারটেকার হিসেবেও কাজ করবেন এবং প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস বলছে, এটাই হচ্ছে সেই প্রযোজ্য শর্ত।

ছবি: এয়ারবিএনবি

“পরিত্যাক্ত সম্পত্তিকে চমৎকার একটি আবাসিক বাড়িতে পাল্টে দেওয়া এই ঠিকানায় থাকার জন্য এয়ারবিএনবি একজন আদর্শ বাসিন্দা খুঁজছে।” - প্রতিষ্ঠানটি বলেছে প্রচারণায়।

এয়ারবিএনবি মনে করছে, “নতুন জনপ্রিয় হয়ে ওঠা দূর-থেকে-কাজের ধারণার সঙ্গে এটি খুব ভালোভাবেই মানিয়ে যাবে”।

“এটা যে এই বাড়িটিকে কেবল দ্বিতীয় জীবন দেবে তা নয়। একইসঙ্গে যারা এ ঠিকানায় এসে উঠবেন, তাদের জন্যও এটি দ্বিতীয় একটি সুযোগ।” - বলেন মেয়র লিওনার্দো চিয়াচ্চিও। “আমরা এমন একজনকে খুঁজছি যিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশে যাবেন, এই জনপদের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন এবং এই গ্রামের কার্যক্রমের অংশ হয়ে উঠবেন। হোক সেটা আঙ্গুর সংগ্রহ বা জলপাই চাষ।”

ইতালীয় স্থাপত্য নকশা প্রতিষ্ঠান ‘স্টুডিও ডিআইডিয়া’ স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে বাড়িটি সংস্কার করেছে। নিচতলায় রয়েছে একটি মাস্টার বেডরুম সঙ্গে একটি ছোট বসার ঘর। মাস্টার বেডরুমে রয়েছে একটি কিং সাইজ বিছানা আর লাগোয়া স্নানঘর।

দ্বিতীয় তলায় একটি বসার ঘর, রান্নাঘর, কাজের জায়গা, স্নানঘর এবং একটি কিং সাইজ বিছানা। তৃতীয় তলায় কুইন সাইজ বিছানাসহ আরও একটি থাকার জায়গা।

খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে? আগ্রহী হলে আগে দেখুন আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত এক বছর আছে কি না। এর পর ভিসা সংগ্রহের প্রশ্ন।