‘বিগ টেক’-এর লাগাম টানার কৌশল প্রশ্নে মতৈক্যে ইউরোপের এমপি’রা

ফেইসবুক, গুগল ও অ্যাপলের মতো ‘বিগ টেক’ হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডের লাগাম টানার কৌশল নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা। ডিজিটাল অর্থনীতির বাজারে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতাবিমুখ আচরণ নিয়ন্ত্রণে আনার নতুন নিয়ম-নীতি নিয়ে আলোচনা চালিয়েছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2021, 11:39 AM
Updated : 18 Nov 2021, 11:39 AM

বাজারে আট হাজার কোটি ইউরোর বেশি মূলধন আছে এবং অন্তত একটি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নীতিমালার অধীনে আসবে বলে বুধবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফাইন্যানশিয়াল টাইমস।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে,নতুন নিয়ম-নীতির ফলে আরও বেশি সংখ্যক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত “ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ)-এর” অধীনে আসবে। অন্যদিকে, টাইমস বলছে ২০২২ সাল থেকে নতুন আইন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে ইইউ।

‘বিগ টেক’ হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ২০২০ সালে ডিএমএ-র প্রস্তাব করেন ইইউ অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান মার্গ্রেথ ভেস্টেগার। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কী কী করতে পারবে এবং কী করতে পারবে না, তার তালিকা রয়েছে ওই প্রস্তাবে।

প্রস্তাবিত আইনের অধীনে, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ছোট কিন্তু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারবেন জাতীয় পর্যায়ের বাজার নিয়ন্ত্রকরা।

ফাইন্যানশিয়াল টাইমস বলছে, গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটসহ অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেইসবুক, মাইক্রোসফট, চীনের আলিবাবা এবং নেদারল্যান্ডসের বুকিং-এর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পড়বে নতুন আইনের আওতায়।

তবে মার্কিন সরকার এই পক্ষেপে শঙ্কিত বলে জানিয়েছে রয়টার্স। নতুন আইনে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোই বেশি চাপের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন সরকার।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইউরোপিয়ান কমিশন নতুন আইনের একক প্রয়োগকারী হবে বলে একমত হয়েছেন ইইউ প্রতিনিধিরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সমঝোতার অনুমোদন দেবেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মন্ত্রীরা। প্রস্তাবিত ডিএমএ আইন হিসেবে পাশ হওয়ার আগে আবারও আলোচনায় বসবেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আইনপ্রণেতা ও নীতিনির্ধারকরা।