চাঁদে নাসা নভোচারী নেওয়ার চুক্তি পেল স্পেসএক্স

জেফ বেজোসের ‘ব্লু অরিজিন’কে হারিয়ে দিয়ে নাসার ‘আর্তেমিস মুন ল্যান্ডার’ চুক্তি জিতে নিয়েছে ইলন মাস্কের ‘স্পেসএক্স’। চুক্তির অধীনে চাঁদে নভোচারী নিয়ে যেতে পারবে এমন মহাকাশযান তৈরি করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2021, 03:44 PM
Updated : 17 April 2021, 07:40 PM

মানুষ চাঁদে শেষবার গিয়েছিল ১৯৭২ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো কর্মসূচী বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে সে অধ্যায়ের ইতি ঘটে। ফলে ১৯৭২ সালের পর প্রথম চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেল স্পেসএক্স।

প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন বলছে, চুক্তিটি দুইশ’ ৯০ কোটি ডলার মূল্যমানের। এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, নাসা দুটি প্রতিষ্ঠানকে এ চুক্তি দেবে।

নাসার একাধিক ঠিকাদারকে চুক্তি দেওয়ার নজির রয়েছে। সাধারণত প্রতিযোগিতার প্রচারণার স্বার্থে এবং কোনো কারণে চুক্তি বিজেতা প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন না করতে পারলে যাতে হাতে অন্য পথ খোলা থাকে, সেজন্য এ কাজ করতো মার্কিন এ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করেছিল নাসা। এখন এসে পুরো চুক্তিটাই স্পেসএক্সকে দিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

স্পেসএক্স আর্তেমিস মিশনের জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য ‘স্টারশিপ’ মহাকাশযান বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। নাসারও যে প্রস্তাবটি পছন্দ হয়েছে তা চুক্তি দিয়ে দেওয়া দেখেই অনুমেয়। তবে, স্টারশিপ নিয়ে সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে স্পেসএক্স।

এখন পর্যন্ত স্পেসএক্সের সব নমুনা হয় ক্র্যাশ করেছে না-হয় বিস্ফোরিত হয়েছে। কিন্তু নাসা সে ঘটনাগুলো আমলে নিচ্ছে কি না তা পরিষ্কার নয়। তারা শুধু জানিয়েছে, স্পেসএক্সের মহাকাশযানের পুনর্ব্যবহারযোগ্যতার বিষয়টি ঠিকাদার নির্বাচনের সময় ভূমিকা রেখেছে। 

চুক্তিটি স্পেসএক্সের জন্য বড় মাপের একটি অর্জন। এরই মধ্যে নাসার সঙ্গে মিলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নভোচারী আনা-নেওয়ার কাজ করছে সংস্থাটি। এপ্রিলের ২২ তারিখেই এ প্রকল্পের পরবর্তী মিশন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে আর্তেমিস কর্মসূচী হাতে নেয় নাসা। মূল লক্ষ্য ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে নভোচারী নিয়ে যাওয়া।