শেষ হলো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০

ষষ্ঠ “নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২০” প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হলো সম্প্রতি। কোভিড বাস্তবতায় অনলাইনে ভার্চুয়াল আয়োজনে হয়েছে এই অনুষ্ঠান।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2020, 04:15 PM
Updated : 5 Oct 2020, 04:15 PM

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনেটিক অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৭৩টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ) বড় পরিসরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে । 

বেসিস জানিয়েছে, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ প্রতিযোগীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ১ লাখ প্রতিযোগীকে ভার্চুয়ালি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করেছে।

কোডার, প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, নকশাবিদ, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাসহ সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে মহাকাশ সংক্রান্ত পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা, যা মহামারীর সঙ্গে সম্পর্কিত, এমন উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করাই এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য।

এবার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে সাড়ে তিনশ'র বেশি প্রকল্প জমা পড়ে। ২-৪ অক্টোবর ভার্চুয়ালি নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ- ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি ৪৮ ঘণ্টা টানা হ্যাকাথনের পর যাচাই পর্যবেক্ষণ শেষে ৬০টি প্রকল্প থেকে শীর্ষ ১৭ টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে, যা পরবর্তীতে নাসায় পাঠানো হবে। 

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জেষ্ঠ্য সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, এনডিসি । 

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং বিগত বছরে  নাসা স্পেস আপস চ্যালেঞ্জ-এ বাংলাদেশের কৃতিত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, “আমাদের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যাবহার এবং উদ্ভাবন দ্বারা আগামী দিনে সমস্যা সমাধানকারী জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে।”

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “বেসিস থেকে আমরা  নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের  মতো কার্যক্রম সারা বছরই অব্যাহত রাখতে চাই।”