বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চিঠিতে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন, সিনেট কমার্স সাবকমিটি অন কনজিউমার প্রোটেকশনের চেয়ারম্যান জেরি মোরান এবং সিনেট কমার্স সাবকমিটি অন কমিউনিকেশনস, টেকনোলজি, ইনোভেশন অ্যান্ড দ্য ইন্টারনেটের চেয়ারম্যান জন থুন।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত লাখো মার্কিন গ্রাহকের ডেটা জোগাড় ও স্থানান্তর করেছে টিকটক, যে বিষয়টি প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে এফটিসি’র কাছ থেকে নির্দিষ্ট জবাব চেয়েছেন দুই সিনেটর।
এফটিসি চেয়ারম্যান জোসেফ সিমন্সকে দেওয়া ওই চিঠি বলছে, “টিকটকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে যে, ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তারা ডিভাইসের ‘মিডিয়া অ্যাকসেস কনট্রোল’ (ম্যাক) অ্যাড্রেস সংগ্রহ করেছে, সাধারণত টার্গেটেড বিজ্ঞাপনের জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়।”
জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বলে টিকটকের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রিপাবলিকান সিনেটরদের এই চিঠির মাধ্যমে তার মাত্রা আরও খানিকটা বাড়লো।
২০১৭ সালে চীনে চালু হওয়া একটি আইন অনুযায়ী, চীনের গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডে সমর্থন এবং সহায়তার দায়িত্ব থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলোর। এই আইনের কারণেই চাপের মুখে পড়েছে টিকটক।
৬ অগাস্ট একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এই আদেশ বলছে, ৪৫ দিনের মধ্যে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স যদি চুক্তি করতে না পারে, তাহলে টিকটকের সঙ্গে সব লেনদেন নিষিদ্ধ করা হবে।
এদিকে টিকটকের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অ্যাপটি ম্যাক অ্যাড্রেস জোগাড় করে না।