শুক্রবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে দায়ের করা ওই মামলায় বাদী অ্যাডাম ব্যুয়ের অভিযোগ করেছেন, ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই অ্যাপলের ইউনিভার্সাল ক্লিপবোর্ড অ্যাপ্লিকেশন থেকে স্পর্শকাতর কনটেন্ট পড়ে এবং তা ডাইভার্ট করে লিংকডইন। -- খবর রয়টার্সের।
অ্যাপলের ওযেবসাইট বলছে, ইউনিভার্সাল ক্লিপবোর্ড ব্যবহারকারীকে টেক্সট, ছবি, ফটো এবং ভিডিও অ্যাপল ডিভাইস থেকে কপি করতে এবং পরে তা অন্য অ্যাপল ডিভাইসে পেস্ট করতে দেয়।
এ বিষয়ে লিংকডইন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
গত সপ্তাহের একাধিক গণমাধ্যম প্রতিবেদন জানিয়েছে, টিকটক এবং লিংকডইনসহ মোট ৫৩টি অ্যাপ অ্যাপল ব্যবহারকারীর ইউনিভার্সাল ক্লিপবোর্ড কনটেন্ট পড়ে।
সম্প্রতি আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন গোপনতা ফিচার নিয়ে এসেছে অ্যাপল। কোনো অ্যাপ ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে ক্লিপবোর্ড কনটেন্ট পড়লেই ওই ফিচারের মাধ্যমে তা জানতে পারছেন অ্যাপল ব্যবহারকারীরা।
“এই ‘পড়া’গুলো অ্যাপলের ইউনিভার্সাল ক্লিপবোর্ড ‘পেস্ট’ কমান্ড বলছে।” – অভিযোগ করা হয়েছে অ্যাডাম ব্যুয়েরের মামলায়।
গত সপ্তাহেই অবশ্য এক লিংকডইন নির্বাহী টুইটারে জানান, এ ধরনের অনুশীলন বন্ধ করতে নিজেদের অ্যাপের নতুন সংস্করণ ছেড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তারপরও অভিযোগে উঠে এসেছে, অ্যাপল অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১৪-এর ডেভেলপার এবং পরীক্ষকরা দেখেছেন আইফোন ও আইপ্যাডের লিংকডইন অ্যাপ্লিকেশন ‘গোপনে’ ব্যহারকারীর ক্লিপবোর্ড ‘অনেক বেশি’ পড়ে।
মামলায় আরও অভিযোগ, লিংকডইন শুধু নিজ ব্যবহারকারীদের উপরেই নয়, নিজেদের পার্শ্ববর্তী কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসের ডেটাতেও নজরদারি চালায়, এবং এটি অ্যাপলের ইউনিভার্সাল ক্লিপবোর্ড বিরতিকে বোকা বানায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, আইনি ও সামাজিক স্বাভাবিকত্ব লংঘনের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন আইন মেনে মামলাটিকে ‘ক্লাস অ্যাকশন’ মামলার রূপ দিতে চাচ্ছেন বাদী।