প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট ইন্দোনেশিয়ায়

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য ও সেবা বিক্রির ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে ইন্দোনেশিয়া। ভ্যাটের আওতায় পড়েছে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানও।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2020, 06:38 PM
Updated : 7 July 2020, 06:38 PM

করোনাভাইরাস মহামারীতে কর্মীদের জন্য বাসা-থেকে-কাজের পরিধি বেড়েছে অনেকটা। ফলে বদলেছে মানুষের খরচের ধরন। এর প্রভাব পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিতে। এমন বাস্তবতায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিলো দেশটি।

বিবৃতিতে দেশটির কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই এবং গুগল এশিয়া প্যাসিফিক, গুগল আয়ারল্যান্ড ও গুগল এলএলসি ইউনিটকে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দিয়েছে দেশটি।

নতুন ভ্যাট নীতিমালার আওতায় যে বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্দোনেশিয়ায় পণ্য বা সেবা বিক্রি করে বছরে অন্তত ৬০ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপি বা ৪১ হাজার ৬৬৭ মার্কিন ডলার আয় করে বা বছরে অন্তত ১২ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আয় করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে-- খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্রুত গতিতে বাড়ছে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি ১৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা দিয়েছে গুগল, টেমাসেক হোল্ডিংস এবং বাইন অ্যান্ড কোম্পানির গবেষণা।

করোনাভাইরাস মহামারীতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এ বছর রাষ্ট্রের বার্ষিক আয় ১৩ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করছে ইন্দোনেশিয়া, যা দেশটির ২০২০ সালের বাজেট ঘাটতির তিনগুণেরও বেশি।

ইন্দোনেশিয়ার কর অফিসের মুখপাত্র হেস্তু ইওগা সাকসামা বলেন, “বাইরের একই ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে কর অফিস, ডিজিটাল পণ্যের জন্য ভ্যাট আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।”

রয়টার্সকে নেটফ্লিক্সের এক মুখপাত্র বলেন, তারা নতুন নীতিমালা মেনে চলবে।

নিটফ্লিক্সের ওই মুখপাত্র বলেন, “ভ্যাট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের কাজ এবং আমরা যে দেশগুলোতে ব্যবসা করি, নেটফ্লিক্স ওই দেশের নীতিমালাকে সম্মান করে। ”

বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, গুগল এবং স্পটিফাই।