ফিটবিট ক্রয়: ইইউয়ের তদন্তের মুখে গুগল

ফিটবিট কেনা নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রশ্নের মুখে পড়েছে গুগল। এই অধিগ্রহণের ফলে প্রতিযোগিতার ক্ষতি হবে কি না বা গুগলের কাছে অনেক বেশি ব্যক্তিগত ডেটার দখল চলে যাবে কি না সে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপের নীতিনির্ধারক সংস্থাটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2020, 03:38 PM
Updated : 2 July 2020, 03:38 PM

ফিটনেস-ট্র্যাকিং ডিভাইস বানায় ফিটবিট, যা ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দন, কার্যকরিতার পর্যায় ও ব্যবহারকারীর জিপিএস ডেটা পর্যবেক্ষণ করে।

গুগলের সম্ভাব্য এই অধিগ্রহণ ঠেকানোর দাবি জানিয়েছে ২০টি ভোক্তা সংগঠন এবং গোপনতা বিষয়ের আইনজীবীদের একটি দল-- খবর বিবিসি’র।

এদিকে গুগল দাবি করছে, ফিটবিটের ডেটা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন টার্গেট করবে না তারা এবং সংগ্রহ করা ডেটা বিষয়ে তারা “স্বচ্ছ” থাকবে।

গত বছর নভেম্বরে গুগল ঘোষণা করেছিল, ২১০ কোটি মার্কিন ডলারে ফিটবট অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা। সে সময় ক্ষতির মুখে ছিলো ফিটবিট।

এটা অনেকটাই পরিষ্কার যে, এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে পরিধেয় ডিভাইস ব্যবসার পরিধি যথেষ্টই বাড়াবে গুগল এবং অ্যাপল ওয়াচের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে নিজস্ব ব্র্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচও সম্ভবত বাজারে আনবে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

নিজস্ব বিভিন্ন পণ্যের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই গুগলের কাছে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেক গোপনতা সমর্থক সংগঠন।

অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, “আপনার সম্পর্কে এতোটা ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করা কোনো প্রতিষ্ঠানের উচিত বলে আমরা মনে করি না।”

চুক্তির অনুমোদন মিলবে না কি তদন্ত শুরু হবে সে বিষয়ে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ নীতিনির্ধারকরা।

গুগল এবং ফিটবিটের বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিস্তারিত প্রশ্নাবলী পাঠিয়েছে নীতিনির্ধারকরা। সম্ভাব্য এই অধিগ্রহণের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো অসুবিধায় পড়বে কি না সে বিষয়টিই জানতে চেয়েছে ইইউ।

চুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থাও। অগাস্টে সিদ্ধান্ত জানাবে সংস্থাটি।