বেলজিয়ামের হাসপাতালে টহল দেবে রোবট

জ্বর শনাক্ত করতে পারে, ফেইস মাস্ক ঠিকমতো পরা আছে কি না তা ধরতে পারে এবং ৫৩টিরও বেশি ভাষায় কথা বলতে পারে এমন রোবট ঘুরে বেড়াচ্ছে বেলজিয়ামের হাসপাতাল ও দোকানে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2020, 02:46 PM
Updated : 30 May 2020, 02:46 PM

ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অ্যানটর্প-এ মঙ্গলবার থেকে মানুষ হয় অনলাইনে প্রশ্নের উত্তর দেবে, না হয় কিয়স্কের মাধ্যমে নিজেদের উত্তর জানাবে। এরপর একটি রোবট কিউআর কোড স্ক্যান করবে, উত্তর পর্যালোচনা করবে, তাপমাত্রা মাপবে এবং ঠিকমতো ফেইস মাস্ক পরা আছে কি না তা দেখবে। -- খবর রয়টার্সের। 

এ প্রসঙ্গে বেলজিয়ামভিত্তিক জোরাবটস-এর প্রধান নির্বাহী ফ্যাব্রিস গফিন জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকেই হাসপাতাল, কেয়ার হোম এবং হোটেলে রোবটগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি নতুন ভূমিকায় এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া গেছে। নিজে থেকে রোবটগুলো কখনও কোভিড-১৯ পরীক্ষা না করলেও, এ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ ধরতে পারবে।   

“নির্ধারিত টার্মিনালের চেয়ে রোবট থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো, রোবট নড়তে চড়তে পারবে, মানুষের কাছে যেতে পারবে, তাদের সঙ্গে তাদের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারবে। এটি ৫৩টিরও বেশি ভাষায় কথা বলতে পারে”। - বলেছেন ফ্যাব্রিস গফিন।

হাসপাতালের অপারেটিং থিয়েটারের ব্যবস্থাপক মিকাইল ভামেকলে জানিয়েছেন, জ্বর বা জ্বরের উপসর্গ রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তিকে দিক নির্দেশনা দিয়ে স্পর্শহীন ডিভাইসের দিকে বা পৃথক কোনো কক্ষে নিয়ে যেতে পারবে রোবটটি।

সাধারণত দিনে দুই হাজার রোগী আসেন হাসপাতালটিতে। আগামী সপ্তাহ থেকে রোগী ভর্তি করাও শুরু করবে হাসপাতালটি। সামনের সপ্তাহ নাগাদ করোনাভাইরাস লকডাউন উঠছে দেশটিতে।

রোবটগুলোর সফটওয়্যার ও ইন্টারফেইস ডিজাইনার প্রতিষ্ঠান ডিজিটোপিয়া’র প্রধান জ্যান বাসেলস জানিয়েছেন, পুনরাবৃত্তি হবে এমন কাজে সাহায্য করতে পারবে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে রোবটগুলোকে। কর্মরত অবস্থাতেও শিখতে পারবে রোবটটি।

এক একটি রোবটের জন্য খরচ পড়বে ৩৩ হাজার ৩৫৭ ডলার। ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র এবং রোয়ান্ডার হাসপাতালের জন্য বেশ কিছু রোবট বিক্রি করা হয়েছে। কিছু বেলজিয়ান কম্পিউটার দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এ ধরনের রোবট।