সোলার অরবিটার যাচ্ছে সূর্যের মেরু অঞ্চল দেখতে

সূর্যের মেরু অঞ্চলের দৃশ্য ধারণ করতে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে মার্কিন ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তৈরি নতুন মহাকাশযান।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2020, 04:50 PM
Updated : 9 Feb 2020, 05:13 PM

‘সোলার অরবিটার’ নামের ওই মহাকাশযান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় রোববার ১১:০৩ মিনিটে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। মহাকাশযানটির ধারণকৃত সূর্যের মেরু অঞ্চলের দৃশ্যগুলো গবেষকদেরকে নক্ষত্রটির চৌম্বক শক্তি কীভাবে পৃথিবীকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে সহায়তা করবে। -- খবর রয়টার্সের।

সূর্যের মেরু অঞ্চল ম্যাপিংয়ের কাজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে দশ বছর সময় নেবে মহাকাশযানটি। মেরু অঞ্চলের ম্যাপিংয়ের ফলে ঘনীভূত সৌর বাতাসের সূত্রও প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছেন গবেষকরা। “প্লাজমা কোথা থেকে আসছে, সৌর বাতাসের উৎপত্তিই বা কোথায়? কোনো একটি পয়েন্টে এসে, আমাদের সৌর চক্র চলাকালীন এগুলোর অধিকাংশই আসে মেরু অঞ্চল থেকে যা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি।” – বলেছেন নাসা বিজ্ঞান পরিচালনা দপ্তর প্রধান টমাস জারবুকেন।

মহাকাশযানটিতে ছয়টি টেলিস্কোপসহ উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করার মতো ‘হিট শিল্ড’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। প্রায় এক হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা থেকে মহাকাশযানটিকে রক্ষা করবে ‘হিট শিল্ডটি’। নিজেকে সূর্য থেকে মাত্র দুই কোটি ৬০ লাখ মাইল দূরে রাখবে মহাকাশযানটি।  

রয়টার্স আরও উল্লেখ করেছে, নিজেকে সূর্যের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পৃথিবী ও মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণের সহায়তা নেবে এবং একটি সময়ে গিয়ে নিজেকে সূর্যের ঘূর্ণনের সঙ্গে নিজের আবর্তনের গতি মিলিয়ে নেবে মহাকাশযানটি।

কীভাবে নভোচারীদেরকে মহাবিশ্বের নানাবিধ স্থানে ছড়িয়ে থাকা রেডিয়েশনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়টিও এ মিশনের ফলাফল থেকে জানতে পারবে নাসা। এ ধরনের রেডিয়েশনে নভোচারীদের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে শুরু করে জিনের প্রকাশে পরিবর্তন পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।