আক্রমণে নাসা, ধ্বংসস্তুপ পরীক্ষায় ইউরোপ

কাজ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। যদি কখনও কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার উপক্রম হয়, তাহলে সেটিকে ঠেকিয়ে দেওয়ার ফন্দি আঁটছে এই দুই মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2019, 02:19 PM
Updated : 4 Dec 2019, 02:19 PM

এক্ষেত্রে গ্রহাণুতে আঘাত হানার দায়িত্বটি নাসার। আর এরপর ধ্বংসস্তুপ নিয়ে গবেষণা করবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।

এর আগে অবশ্য পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কি না সেটিই পরীক্ষা করে দেখবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও নাসা। এ লক্ষ্যে ২০২৪ সাল নাগাদ পরিচালিত হবে ‘হেরা অ্যাস্টেরয়েড মিশন’। সম্প্রতি মিশনটি পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।

ওই মিশনে জোড়া গ্রহাণু হিসেবে পরিচিত ডিডিমসের ছোট উপাদান ‘ডিডিমস বি’ বা ‘ডিডিমুন’-এ আঘাত হানা হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডিরেকশন টেস্ট’ (ডার্ট) –এর অধীনে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে মহাকাশে স্পেসএক্স রকেট পাঠাবে নাসা। ওই রকেটটি ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ডিডিমুনে আঘাত হানবে।

এরপর ২০২৪ সালে রওনা হবে হেরা’র মহাকাশযান, ২০২৬ সাল নাগাদ সেখানে পৌঁছে ডার্টের কার্যকলাপ পরীক্ষা করে দেখবে মহাকাশযানটি।

মূলত আঘাত হানার পর, জোড়া গ্রহাণু ডিডিমস থেকে ছবি ও ডেটা সংগ্রহ করবে এবং সেগুলো পৃথিবীতে ‘রিলে’ করবে মহাকাশযানটি। ২০২৪ সালে এক জোড়া কিউবস্যাটও পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিউবস্যাটগুলো প্রথমে গ্রহাণু ডিডিমসের খুব কাছে অবস্থান নেবে এবং পরবর্তীতে গ্রহাণুটির উপর অবতরণ করবে।

উল্লেখ্য, কিউবস্যাট এক ধরনের ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি সাধারণত ১০ সেমি X ১০ সেমি X ১১.৩৫ সেমি আকারের হয়ে থাকে। মহাকাশ গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয় ‘ইউ’ শ্রেনীভুক্ত এ মহাকাশযানটি।

গ্রহাণুকে আঘাত করে কোনোভাবে সেটির গতিপথ বদলে দেওয়া যায় কিনা সেটিও জানতে চাচ্ছেন ডার্ট গ্রকল্পের গবেষকরা।