প্লেনে চেপে উড়লো নাসা’র মহাকাশযান

পৃথিবী পৃষ্ঠেই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বিশাল আকৃতির কোনো মহাকাশযান নিয়ে যাওয়া হতে পারে বেশ জটিল প্রক্রিয়া। তবে এ ধরনের কাজের জন্য নিজেদের বিশেষায়িত যানবাহন রয়েছে নাসা’র।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2019, 05:11 PM
Updated : 27 Nov 2019, 05:11 PM

মহাকাশযান পরিবহন করতে এবার নিজস্ব বিশাল আকৃতির প্লেন ব্যবহার করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও-তে পরবর্তী প্রজন্মের যাত্রীবাহী মহাকাশযান পরিবহন করতে ‘সুপার গাপি’ নামের প্লেন ব্যবহার করেছে নাসা-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।

বিশাল আকারের সঙ্গে বড় একটি পেট রয়েছে নাসার এই প্লেনটির। এতে বহন করে নেওয়া হয়েছে নাসার নতুন যুগের অরিওন নামের মহাকাশযান। ওহাইওতে এই মহাকাশযানটির পরীক্ষা চালাবে সংস্থাটি।

মহাকাশযানটি দিয়ে ভবিষ্যতে নভোচারীদেরকে গভীর মহাকাশে এবং চাঁদে পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে নাসার। সংস্থাটির ভবিষ্যত প্রজন্মের বিশাল রকেট ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ দিয়ে প্রথমবার ওড়ানো হবে অরিওন মহাকাশযানটি। কোনো নভোচারী ছাড়া এই মিশনটির পরিকল্পনা রয়েছে ২০২০ সালের শুরুতে। ভূপৃষ্ঠে ফেরত আসার আগে চাঁদের চারপাশ দিয়ে তিন সপ্তাহ ঘুরবে মহাকাশযানটি।

আর্টেমিস ১ নামের মিশনটির জন্য অরিওনকে প্রস্তুত করছে নাসার প্রকৌশল দল। সামনের দুই মাসে মহাকাশযানটি নিয়ে অনেকগুলো পরীক্ষা চালানো হবে। এটি মহাকাশে যেতে প্রস্তুত কিনা তাই দেখা হবে পরীক্ষায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বায়ু শূন্য চেম্বারে চরম তাপমাত্রার পরীক্ষা করা হবে। -২৫০ থেকে ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রায় পরীক্ষা চালানো হবে মহাকাশযানটির।

সব পরীক্ষা শেষ হলে আবারও সুপার গাপি প্লেনে করে ফ্লোরিডায় নেওয়া হবে অরিওন। এখান থেকেই রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হবে মহাকাশযানটি। ঠিক কবে নাগাদ এই মিশন পরিচালনা করা হবে তার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও জানানো হয়নি। সরকারি সাম্প্রতিক এক নীরিক্ষায় বলা হয়েছে ২০২১ সালের আগে উড়বে না মহাকাশযানটি।