হ্যাকিং: হোয়াটসঅ্যাপের মামলায় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান

সাইবার হামলা চালিয়ে ডিভাইস ভাইরাস আক্রান্ত করায় ইসারায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2019, 01:47 PM
Updated : 30 Oct 2019, 01:47 PM

ফেইসবুক মালিকানাধীন চ্যাটিং মেসেঞ্জারটির দাবি নজরদারির উদ্দেশ্যে ১৪০০ মোবাইল ফোনে ম্যালওয়্যার পাঠিয়েছে এনএসও গ্রুপ-- খবর বিবিসি’র।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং কূটনীতিকরা রয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নজরদারির সফটওয়্যার বানিয়ে থাকে এনএসও গ্রুপ। হোয়াটসঅ্যাপের এমন দাবি নাকচ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আদালতের নথিতে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছে, “এনএসও গ্রুপ ম্যালওয়্যার বানিয়ে থাকে যার ক্জ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত ডিভাইসগুলো ডিক্রিপ্ট করার পর সেগুলোর মেসেজ ও অন্যান্য  যোগাযোগ অ্যাকসেস করা।”

অনেকগুলো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এপ্রিল এবং মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারের মাধ্যমে ভাইরাসযুক্ত কোড পাঠিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানটি- দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।

হোয়াটসঅ্যাপের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের ধারণা এই হামলায় সুশীল সমাজের অন্তত ১০০ সদস্যকে লক্ষ্য করা হয়েছে, যা অপব্যবহারের একটি সুস্পষ্ট উদারহরণ।”

নিজেদের সেবায় এনএসও গ্রুপকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণ করে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রথম এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ।

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের কারণে নিজেদেরকে “নিরাপদ” যোগাযোগের অ্যাপ হিসেবে প্রচারণা চালায় হোয়াটসঅ্যাপ।

এদিকে হোয়াটসঅ্যাপের এমন দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানিয়েছে এনএসও গ্রুপ।

“কঠোর ভাষায় বলতে গেলে, আজকের এই দাবির বিরুদ্ধে আমরা সর্বশক্তিতে লড়াই করবো।”

“এনএসও-এর মূল উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং গুরুতর অপরাধ দমনে লাইসেন্সধারী সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহায়তা করা,”-- বিবৃতিতে বলেছে এনএসও গ্রুপ।