যুক্তরাজ্য নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনা জানালো ফেইসবুক

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভুয়া তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে নতুন টুল উন্মুক্ত করছে ফেইসবুক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 08:38 AM
Updated : 22 Oct 2019, 08:38 AM

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সত্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফুল ফ্যাক্ট’-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের পরিধি বাড়াচ্ছে ফেইসবুক। এর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের লাইব্রেরি আরও উন্নত করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো নেওয়া যায়।

যুক্তরাজ্য ছাড়াও ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যও ভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সামাজিক মাধ্যমটি। ফেইসবুকের বিজ্ঞাপনে প্রতিজন প্রার্থী কী পরিমাণ খরচ করছেন তাও ট্র্যাক করবে প্রতিষ্ঠানটি।

নির্বাচনে বিদেশী প্রভাব থামানোরও অঙ্গীকার করেছে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা প্রধান বলেন, ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে আজই তার দল বাইরের নেটওয়ার্কের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট, পেইজ এবং গ্রুপ সরিয়েছে।

“এই নেটওয়ার্কগুলোর তিনটির উৎপত্তি ইরান এবং একটি রাশিয়া থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকাসহ বেশ কিছু অঞ্চলকে লক্ষ্য করেছে তারা,” বলেন নাথানিয়েল গ্লেইশার।

“পরিচয় এবং অবস্থান গোপন করতে তারা কার্যকরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের অভিযানগুলো এখনও শুরুর পর্যায়ে ছিল, আমরা যখন এগুলো সরিয়েছি তখন পর্যন্ত গ্রাহক বাড়ানোর দিকেই লক্ষ্য ছিল তাদের।”

যুক্তরাজ্য নির্বাচনের জন্য ফেইসবুকের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা সমাধান বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড অ্যালান।

নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হলে যুক্তরাজ্যে “একটি আলাদা অপারেশন সেন্টার” বানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যালান। ফেইসবুকের নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কনটেন্টগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলাই হবে এই কেন্দ্রের কাজ।

অ্যালান আরও বলেন, “রাজনীতিবিদরা কী বলছেন তার সত্যতা যাচাই করা বা বিচার করা ফেইসবুকের কাজ হবে না।”

অভিবাসন, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মতো বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিজ্ঞাপনসহ সব রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতাকে যাচাই করা হবে এবং সেগুলো প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক আর্কাইভে মজুদ করা হবে। এই আর্কাইভে চাইলে যে কেউ অনুসন্ধানও করতে পারবেন।

এই আর্কাইভটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন আরও স্বচ্ছ এবং অনুসন্ধানযোগ্য করবে। এর আগে ত্রুটি এবং ক্র্যাশের কারণে সমালোচনা হয়েছে এই লাইব্রেরি নিয়ে।

চলতি বছর জুলাই মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোজিলার এক গবেষক জানিয়েছেন ত্রুটির কারণে লাইব্রেরিটি ৫৯ পাতার পর ক্র্যাশ করেছে।

সব রাজনৈতিক প্রার্থী যাতে হয়রানির ব্যাপারে অভিযোগ করতে পারেন সেজন্য তাদেরকে আলাদা আলাদা চ্যানেল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অ্যালান।