এই প্রতিবেদন মতে, লাকি ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন-এর বিরোধী একটি প্রচারণায় ১০ হাজার ডলার অনুদান দেওয়ার পর তাকে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বলা হয়। প্রতিবেদনটির ভাষ্য হচ্ছে, “তার এই অনুদানের কারণে তার সহকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জন্ম নেয়। ছয় মাস পর তাকে বের করে দেওয়া হয়।”
২০১৪ সালে অকুলাস-কে দুইশ’ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় ফেইসবুক। এরপর থেকে লাকি ফেইসবুকের অধীনেই কর্মরত ছিলেন। তিনি কেন প্রতিষ্ঠান ছাড়লেন তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি, বলা হয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বরাতে দৈনিকটি পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রতি লাকি’র সমর্থনে হতাশ হন ফেইসবুক আর সিলিকন ভ্যালির কেউ কেউ।
২০১৮ সালে কংগ্রেসের সামনে ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে জবাবদিহিতার সময় লাকির চলে যাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। মার্কিন দৈনিকটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের জবাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির দাবি, নির্দিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কড়া গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সবসময় এটি স্পষ্ট করে বলেছি যে তার রাজনৈতিক যে কোনো বিষয় পালমারের উপর নির্ভর করত, আর আমরা সত্য বা বাস্তব নয় এমন কিছু বলতে তাকে কখনও চাপ দেইনি।”
চলতি বছর অক্টোবরে লাকি বলেন ফেইসবুক থেকে বের হয়ে আসাটা তার পছন্দে হয়নি। সে সময় সিএনবিসি-কে তিনি বলেন, “আমি এটি নিয়ে খুব বেশি বলতে পারব না, কিন্তু আমি এটি বলব যে ছাড়াটা আমার পছন্দে ছিল না।” ওই মাসে ফেইসবুক ছাড়ার ঘোষণা দেন অকুলাস এর আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রেন্ডান আইরিব-ও। এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “২০১২ সালের জুলাইয়ে আমরা অকুলাস প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছে। আমরা কতটুকু অর্জন করতে পারব আর এখন যতদূর পর্যন্ত এসেছি তা নিয়ে আমি কখনও কল্পনা করতে পারিনি। আর এখন চমৎকার ছয়টি বছর, আমি চলে যাচ্ছি।”