বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন বাফেট।
বার্কশায়ার প্রধান বলেন, “আমি একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করি। এর বাইরে সব ধরনের বিষয় নিয়ে আমার প্রতিদিনের কোনো মত নেই।”
সম্প্রতি বাফেটের নামে থাকা একটি ভুয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সহজ ও আকর্ষণীয় জীবনমুখী উপদেশ শেয়ার করা শুরু হয়, আর ওই টুইটগুলো ভালোই সাড়া ফেলে। এ নিয়ে জিজ্ঞাসার পর হেসে ফেলেছেন এই বিনিয়োগকারী, বরং তিনি যা করতেন তার ‘কপিক্যাট’ সে তুলনায় বেশি ভালো কাজ করছেন, এমনটাই বলা হয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।
এদিকে শুক্রবার ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টটি ডিজএবল করে দিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, “আমি যতটুকু নিশ্চিত করতে সমর্থ তা হচ্ছে ওই অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়েছে।”
নিজের ভুয়া অ্যাকাউন্টধারীকে নিয়ে বাফেট মজা করে বলেন, “যদি তিনি যথেষ্ট ভালো উপদেশ প্রকাশ করে থাকেন, আমি তার জন্য কৃতিত্ব নেব।”
৮৮ বছর বয়সী বাফেট টুইট করা পছন্দ করেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাফেটের তুলনায় তরুণ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের টুইটারে ভালো সক্রিয় দেখা যায়। নিজের টুইটের জন্য প্রায় কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন আলোচনার জন্ম দেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। সম্প্রতি শেয়ার প্রতি ৪২০ ডলার মূল্যে নিজ প্রতিষ্ঠান টেসলাকে প্রাইভেট করার পরিকল্পনা জানিয়ে টুইট করেন তিনি, নানা আলোচনা সমালোচনার পর আবার এ পরিকল্পনা বাতিলও করেন।
“আমরা দেখিছি কয়েকজন প্রধান নির্বাহী ঘন ঘন টুইট করেন, ইলন মাস্কসহ… তিনি অবশ্যই এমন কেউ যিনি প্রচুর টুইট করেছেন। যারা অনেক বেশি টুইট করেন তাদের নিয়ে আপনি কী মনে করেন?”-- বাফেটকে সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে এ প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে বাফেট বলেন, “আমি মনে করি না এটি তাকে খুব একটি সহায়তা করেছে।”
বরং ইতোমধ্যে অর্থায়ন সুরক্ষিত এমন দাবি করার মাধ্যমে মাস্ক শেয়ারবাজারের আইন ভঙ্গ করেছেন কিনা তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের তদন্তের মুখে পড়েছেন।
“প্রতিদিন বার্কশায়ার নিয়ে মন্তব্য শুরু করা বিশেষত বিপদজনক হতো, যা আমি কখনোই করতাম না।”