ফেসিয়াল রিকগনিশন: ‘ধরা পড়লেন’ কংগ্রেস সদস্যরা!

আগে আটক হওয়া অপরাধী হিসেবে ‘শনাক্ত হয়েছে’ ২৮ কংগ্রেস সদস্যের চেহারা। মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে করা পরীক্ষায় এই ফলাফল এসেছে বলে দাবি করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2018, 12:20 PM
Updated : 29 July 2018, 12:20 PM

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসিএলইউ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রকাশ্যে পাওয়া যায় এমন ২৫ হাজার অপরাধীর ডেটাবেইসে হাউজ ও সিনেটের বর্তমান প্রত্যেক সদস্যের ছবি ইনপুট করে তারা। এতে অ্যামাজনের ‘রিকগনিশন’ ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবস্থার ডিফল্ট সেটিংস ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষায় দুই ডজনেরও বেশি কংগ্রেস সদস্যের চেহারা আগের আটক হয়েছেন এমন অপরাধী হিসেবে ‘ভুল শনাক্ত’ করা হয় বলে দাবি এসিএলইউ’র।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বিভাগ ইতোমধ্যে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। সম্প্রতি এই প্রযুক্তি মেরিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে ক্যাপিটাল গ্যাজেট হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যারড রামোস-কে শনাক্ত করতে সহায়তা করেছে।

এসিএলইউ’র এই পরীক্ষায় ডেমোক্রেটিক আর রিপাবলিকান উভয় দলের সিনেটর আর সব বয়সী ও লিঙ্গের হাউজ প্রতিনিধিদের নেওয়া হয় বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।  

পরীক্ষার প্রতিবেদনে এই প্রযুক্তির জাতি বৈষম্যমূলক ত্রুটি দেখা যায়। ভুল ভাবে শনাক্ত করা কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে ৩৯ শতাংশই শ্বেতাঙ্গ নন। যদিও, শ্বেতাঙ্গ নন এমন কংগ্রেস সদস্যের সংখ্যা মোট কংগ্রেস সদস্যের ২০ শতাংশ।   

এই পরীক্ষায় ভুল শনাক্ত হওয়া সদস্যদের মধ্যে রিপাবলিকান লুইস গুটিরেজ এবং জিমি গোমেজ টুইটারে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। গোমেজ অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস-কে ট্যাগ করে তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অন্যদিকে গুটিরেজ বলেন, “আপনি কী নিশ্চিত অ্যামাজন ডোনাল্ড ট্রাম্প, টাকার কার্লসন এবং ব্রেইটবার্ট-এর সঙ্গে কথা বলছে না? তারা মনে করে সব লাতিন লোকই অপরাধী।”

এই ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে তা জানতে চেয়ে বেজোসের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন গুটিরেজসহ আরও দুই সিনেটর। ভুলভাবে শনাক্ত হওয়া এই দুই সিনেটর হলেন এডওয়ার্ড জে. মারকি এবং মার্ক ডিসলনিয়ার।

ভুল শনাক্তের শিকার হয়েছেন নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা রিপাবলিকান জন লুইস-ও। এক বিবৃতিতে তিনি এই পরীক্ষার ফলাফলকে “গভীর সমস্যা” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

এই প্রতিবেদনের শেষে এসিএলইউ কংগ্রেসকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে “একটি স্থগিতাদেশ প্রণয়ন”-এর আহ্বান জানিয়েছেন।