ক্যান্সারের অস্ত্র হতে পারে এআই: টেরিজা মে

ক্যান্সারসহ যুক্তরাজ্যে অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে পরিবর্তন আনতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, এমনটা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 10:58 AM
Updated : 21 May 2018, 10:58 AM

ম্যাকলেসফিল্ডে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মে বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে এনএইচএস এবং অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উচিত এআইকে “নতুন অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করা।

চিকিৎসা খাতে এআইয়ের ব্যবহার ২০৩৩ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগে মৃতের সংখ্যা বছরে ২২ হাজার কমাতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে এআই-- খবর বিবিসি’র।

বক্তৃতায় মে আরও বলেন, এর মাধ্যমে উচ্চ-দক্ষতার বৈজ্ঞানিক চাকুরিও তৈরি হবে।

“নিরাময়যোগ্য রোগ দেরিতে শনাক্তকরণ মৃত্যুর সবচেয়ে বড় পরিহারযোগ্য কারণগুলোর অন্যতম। আর অনেক পরিমাণে ডেটা দ্রুত বিশ্লেষণ করার মতো স্মার্ট প্রযুক্তি তৈরি এবং মানুষের চেয়ে বেশি নিখুঁত এই প্রযুক্তি সম্পূর্ণ নতুন মেডিক্যাল গবেষণা খাত উন্মুক্ত করতে পারে,” বলেন মে।

রোগীর মেডিক্যাল রেকর্ড, জেনেটিক তথ্য এবং জীবনযাপনের অভ্যাস থেকে কম্পিউটার অ্যালগরিদম ক্যান্সার শনাক্ত করবে তা দেখতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মেডিক্যাল সায়েন্স খাতে সম্ভাব্য ডেটা এবং এআইয়ের ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মে। কিন্তু এর জন্য সঠিক কাঠামো বানাতে অনেক বাধা আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফুসফুস, অন্ত্র, মুত্রথলী এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার ‘অ্যাডভান্সড স্টেইজে’ শনাক্তকরণের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে এনে হাজারো মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।

সরকারের পরিকল্পনাকে অগ্রগামী বলে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র প্রধান নির্বাহী স্যার হারপাল কুমার জানিয়েছেন, “এটা সম্ভব করতে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সঠিক কাঠামো রয়েছে।”

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সিমন গিলেসপি বলেন, “এমআরআই স্ক্যান বিশ্লেষণ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে পারে, যা হয়তো বর্তমান কৌশলগুলো এড়িয়ে যাবে।”

“এর মাধ্যমে দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব হতে পারে এবং আরও ব্যক্তিগত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যেতে পারে,” যোগ করেন তিনি।

বক্তৃতায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন যে, ২০৩৫ সালের মধ্যে তিনি নিশ্চিত করতে চান মানুষের জীবনের আরও পাঁচ বছর হবে সুস্থ, স্বাধীন এবং সক্রিয়।