সামাজিক মাধ্যমটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে গ্রাহকের স্পষ্ট সম্মতি ছাড়াই তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য জোগাড় করা হয়েছে--খবর বিবিসি’র।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ফেইসবুকের ‘ট্যাগ পরামর্শ’ প্রযুক্তি। গ্রাহক যখন প্লাটফর্মটিতে কোনো ছবি আপলোড করেন তখন তার বন্ধুদের শনাক্ত করে এই প্রযুক্তি, যা রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে।
অবশ্য ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই এবং তারা সবলে এর মোকাবেলা করবে।
সোমবার মার্কিন জেলা বিচারক জেমস ডোনাটো ফেইসবুকের বিরুদ্ধে এই রুল জারি করেন। এতে ফেইসবুকের এক শ্রেণির গ্রাহককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা ক্লাস অ্যাকশন মামলার অংশ হবেন। ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ হল এমন এক মামলা যেখানে বাদীপক্ষ একজন হলেও তিনি একই ধরনের ঘটনার শিকার অনেকের প্রতিনিধিত্ব করেন ও মামলার রায় ভুক্তভোগী সবার জন্যই প্রযোজ্য হয়।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে, “২০১১ সালের ৭ জুনের পর যেসব গ্রাহকের তথ্য নিয়ে ফেইসবুক ফেইস টেমপ্লেট বানিয়েছে এবং মজুদ করেছে তাদেরকে এই ক্লাস অ্যাকশন মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
আদালতের নির্দেশে বিচারক ডোনাটো বলেন, “ফেইসবুক সম্ভবত বিশ্বাস করে যে, এই ক্ষতির কারণে তাদেরকে শত কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে।”
২০১১ সালের জুন মাসে আপলোড করা ছবিতে ‘ট্যাগ পরামর্শ’ চালু করে ফেইবুক। গ্রাহক কোনো ছবি আপলোড করলে ছবিতে কোন কোন ব্যক্তি উপস্থিত আছেন তা একটি ডেটাবেইস থেকে খুঁজে বের করে প্লাটফর্মটি।
বিচারকের রুলে এই প্রযুক্তির চারটি ধাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
ফেইসবুকের সহায়তা পেইজে বলা হয়, গ্রাহককে যেসব ছবিতে ট্যাগ করা হয়েছে তার প্রতিটি ছবির মিল থেকে ‘ফেইস টেমপ্লেট’ তৈরি করা হয়।
“আপনাকে যদি কখনো কোনো ছবিতে ট্যাগ করা না হয় বা আপনি যদি ফেইসবুকের সব ছবি থেকে নিজেকে আনট্যাগ করেন, তাহলে আমাদের কাছে আপনার এই সংক্ষিপ্ত তথ্য থাকবে না।”-- বলেছে ফেইসবুক।
অনেক দেশের গ্রাহকের জন্যই এই ফিচারটি রাখেনি ফেইসবুক। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে। মার্কিন গ্রাহকরা চাইলে এই ফিচারটি সেটিংস থেকে বন্ধ করে নিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।