এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি'র ড. কন স্লোবোডচিকফ প্রেইরি ডগ আর এদের যোগাযোগের উপায় নিয়ে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা করেছেন। তার গবেষণার উপর ভিত্তি করে স্লোবোডচিকফ আর তার সহকর্মী একটি অ্যালগরিদম বানিয়েছেন। এই অ্যালগরিদম প্রেইরি ডগের কণ্ঠস্বর ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারে।
গবেষক দুজন জুলিঙ্গুয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে বোধগম্য কোনো ভাষায় যোগাযোগে সহায়তা করতে আরও প্রযুক্তি আনার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
স্লোবোডচিকফ-এর মতে, অন্যান্য শিকারিদের সতর্ক করতে প্রেইরি ডগ উচ্চ স্বরে ডাকে। এই ডাক শিকারির আকার ও ধরনের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়। প্রেইরি ডগ মানুষের পরিধেয় কাপড়ের রঙও নির্দেশ করতে পারে।
স্লোবোডচিকফ বলেছেন, “আমি মনে করি, যদি আমরা প্রেইরি ডগ-এর সঙ্গে এটি করতে পারি, আমরা নিশ্চিতভাবে কুকুর আর বিড়ালের সঙ্গেও তা করতে পারি।” তিনি ও তার দল কুকুরের ঘেউ ঘেউ আর শরীরের নড়াচড়া বিশ্লেষণায় হাজার হাজার ভিডিও দেখছেন। এই ভিডিওগুলো দিয়ে একটি এআই অ্যালগরিদমকে যোগাযোগের ইঙ্গিতগুলো শেখানো হবে।
দলটি এখনও কুকুরের প্রতিটি ডাক বা লেজ নড়ানোর অর্থ কোনো অ্যালগরিদম দিয়ে বোঝার অবস্থায় আসেনি।