বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই হেডসেটটি কোনো কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। আর এতে ছবি দেখতে কোনো ফোনের পর্দাও দরকার নেই।
আগের মাসেই এ ধরনের একটি হেডসেট উন্মোচনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ফেইসবুকের অকুলাস বিভাগ। এবার হেডসেটটি উন্মোচন করে প্রতিযোগিতায় কিছুটা এগিয়ে থাকলো তাইয়ানিজ প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন ভাইভ ফোকাস হেডসেটটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে এবং এর মূল্য কতো রাখা হবে তা জানায়নি এইচটিসি। প্রাথমিকভাবে হেডসেটটি শুধু চীনা বাজারে আনা হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এইচটিসি’র পক্ষ থেকে আরও ঘোষণা করা হয় গুগলের ডেড্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল-ইন-ওয়ান হেডসেট তৈরিতে গুগলের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করেছে তারা। আরেকটি হেডসেট তৈরিতে এখনও গুগলের সঙ্গে কাজ করছে লেনোভো।
ভাইভ ফোকাসে একটি অ্যামোলেড পর্দা রাখা হয়েছে। আর ভেতরের সেন্সরের মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোন দিকে তাকাচ্ছেন তা বুঝতে পারবে ডিভাইসটি।
ছয় দিকে নড়াচড়া সমর্থন করায় এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী দারুন ভার্চুয়াল রিয়ালিটির অনুভূতি পাবে।
বর্তমানে যে অল-ইন-ওয়ান ভিআর হেডসেটগুলো রয়েছে সেগুলো স্মার্টফোনের পর্দা ব্যবহার করে। আর এতে ওপরে, নিচে, ডানে ও বামে চার দিকে নড়াচড়া সমর্থন করে।
ছয় দিকে নড়াচড়া সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারী তার মাথা সামনে ও পেছনে নিতে পারবেন।
হেডসেটটি কেন চীনা বাজারে উন্মোচন করা হবে তার উত্তরে বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিট-এর পিয়ার্স হার্ডিং-রোলস বলেন, চীনে ফোকাস উন্মোচনের বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত। “স্মার্টফোন ভিআর বাজারে সবচেয়ে উন্নত চীন এবং তারা ভালো মানের ভিআর হেডসেট খুঁজছে।”
আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা বাজারে ফেইসবুক, গুগল এবং স্যামসাংয়ের হেডসেট নেই। তাই এ বাজারে এইসটিসি’র হেডসেট ভালো অবস্থান পাবে বলে ধারণা করছেন হার্ডিং-রোলস।