‘গোটা মালয়েশিয়ার’ মোবাইল ডেটা বেহাত

বড় এক হ্যাকিংয়ের ঘটনায় মালয়েশিয়ার ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি মোবাইল ফোন গ্রাহকের ডেটা চুরি হয়ে গেছে, যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2017, 07:54 AM
Updated : 1 Nov 2017, 08:12 AM

ফাঁস হওয়া ডেটার মধ্যে গ্রাহকদের মোবাইল নাম্বার, ইউনিক ফোন সিরিয়াল নাম্বার আর বাসার ঠিকানা রয়েছে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মালয়েশিয়ার একাধিক সরকারি ও বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট থেকেও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় এখন মালয়েশিয়ান কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশন (এমসিএমসি) তদন্ত চালাচ্ছে।

মালয়েশীয় প্রযুক্তি সংবাদ সাইট লোইয়াট ডট নেট সর্বপ্রথম এই ডেটা লঙ্ঘনের খবর প্রকাশ করে। এই সাইটটি জানতে পারে কেউ একজন অপ্রকাশিত সংখ্যক বিটকয়েকের বিনিময়ে ব্যক্তিগত তথ্যের বিশাল এক ডেটাবেইস বিক্রি করতে চাচ্ছে। এই ডেটাবেইসে অন্তত ১২টি মালয়েশীয় টেলিযোগাযোগ অপারেটরের গ্রাহকদের তথ্য ব্যক্তিগত রয়েছে। এই অপারেটরগুলো হচ্ছে- ম্যাক্সিস, ডিজি, অ্যালটেল, সেলকম, এনএবলিং এশিয়া, ফ্রেন্ডমোবাইল, মার্চেন্টট্রেডএশিয়া, পিএলডিটি, রেডটোন, টিউনটক, ইউমোবাইল, এক্সওএক্স ইত্যাদি।

ছবি- রয়টার্স

এ ছাড়াও মালয়েশিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল, মালয়েশিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাকাডেমি অফ মেডিসিন মালয়েশিয়া, মালয়েশিয়া হাউজিং লোন অ্যাপ্লিকেশনস, মালয়েশিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন আর ন্যাশনাল স্পেশালিস্ট রেজিস্টার অফ মালয়েশিয়া আর চাকরি খোঁজার প্লাটফর্ম জবস্ট্রিট ডট কম থেকেও বিশাল পরিমাণ ডেটা বেহাত হয়েছে।

লোইয়াট ডট নেট বলে, তারা ১৮ অক্টোবর মালয়েশিয়ার যোগাযোগ পর্যবেক্ষকদের এ বিষয়ে অবহিত করে আর এমসিএমসি শুরুতে তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবেদনগুলো সরিয়ে নেয়। 

পরদিন ফেইসবুকের এক সংবাদ বিবৃতিতের মাধ্যমে এই ডেটা লঙ্ঘনের কথা নিশ্চিত করে এমসিডিসি। সোমবার সংস্থাটি নিশ্চিত করে জানায়, এতে ৪.৬২ কোটি মোবাইল গ্রাহক আক্রান্ত হয়েছে।

এই লঙ্ঘনে মালয়েশিয়ার পুরো ৩.২ কোটি মানুষই এই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী, সেবাদাতাদের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ডেটা নিরাপদ রাখা আবশ্যক। এ একারণে এক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মালায় মেইল অনলাইন নামের সংবাদ সাইটকে এমসিএমসি’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ড. মাজলান ইসমাইল বলেন, এই ডেটা লঙ্ঘন কীভাবে ঘটল তা বের করতে দেশের সব টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের যোঙ্গে যোগাযোগ করেছি।