মঙ্গলবার বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, পরবর্তী বছরের আইফোন, আইপ্যাড থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে কোয়ালকমের চিপ।
কোয়ালকম চিপ বাদ দেওয়া হলে ২০১৮ সালের বসন্তে নতুন আইফোন উন্মোচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে, ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন আইফোন উন্মোচনের আগে পরিকল্পনা বদলাতেও পারে অ্যাপল। এ বিষয়ে আলোচনার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ করেননি তারা।
কোয়ালকম-এর সরবরাহ প্রথায় পরিবর্তন আনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। আইফোনে তাদের চিপ পরীক্ষা করতে অ্যাপলকে কিছু সফটওয়্যার সরবরাহ বন্ধ করেছে কোয়ালকম। এ কারণেই পরবর্তী আইফোনে তাদের চিপ বসানো হবে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করছে অ্যাপল।
অ্যাপলের জন্য কোয়ালকম-এর লাইসেন্সিং শর্ত নিয়ে মামলা চলছে প্রতিষ্ঠান দুটি’র মধ্যে।
রয়টার্সকে কোয়ালকম জানায়, “তারা আইফোনের জন্য পুরোপুরি পরীক্ষিত চিপ সরবরাহ করছে।”
“আমরা অ্যাপলের নতুন ডিভাইসগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে এই খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ।”- বলা হয় কোয়ালকমের দেওয়া বক্তব্যে।
আইফোনে কোয়ালকম-এর চিপ বাদ দেওয়ার বিষয়টি প্রথমবারের মতো সোমবার প্রতিবেদনে জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। অ্যাপলের এই উদ্যোগ পুরোপুরি অপ্রত্যশিত নয় বলে জানিয়েছেন বার্নস্টাইন বিশ্লেষক স্টেসি র্যাসগন।
বেশ কয়েক বছর ধরে অ্যাপলকে মডেম সরবরাহ করে আসছে কোয়ালকম। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইফোনের প্রায় অর্ধেক মডেম সরবরাহ করেছে ইনটেল। ২০১৫ সালে নতুন এক প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ করেছে ইনটেল। এতে কোয়ালকম চিপের বিকল্প আরও চিপ আসবে বলে নিজের ধারণা প্রকাশ করেছেন র্যাসগন।