মার্কিন ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার রেই বলেন, “এফবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে ডিভাইসে এনক্রিপশন অনেক অনেক বড় সমস্যা।”
শেষ এগারো মাসে যে ডিভাইসগুলো লক্ষ্য করা হয়েছিল তার অর্ধেকরই নাগাল পায়নি এফবিআই, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, এ ধরনের এনক্রিপশন এখন ‘জীবনের বাস্তবতা’।
ডিভাইস লক করা থাকলে এতে ডেটা এনক্রিপট করে রাখে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাও এর থেকে তথ্য নিতে পারে না বলে জানানো হয়।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় তার চেয়ে ভিন্ন মোবাইল ডিভাইসের এই এনক্রিপশন ব্যবস্থা। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা শুধু যোগাযোগের ডেটা দুই গ্রাহকের মধ্যে এনক্রিপ্ট করে থাকে।
ইউনিভার্সিটি অফ সারে-এর সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, সন্ত্রাস তদন্তের ক্ষেত্রে ডিভাইস এনক্রিপশন পরিষ্কারভাবেই হতাশাজনক। কিন্তু একারণে এর নিরাপত্তা দুর্বল বা ‘ব্যাক ডোর’ রাখা হলে তা হবে অবাস্তব।
২০১৬ সালে স্যান বার্নার্ডিনোতে হামলাকারী সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক-এর আইফোন আনলক করে দিতে অ্যাপলকে অনুরোধ করে এফবিআই। কিন্তু অ্যাপল তা করতে রাজি হয়নি। অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয় একবার ডেটা এনক্রিপ্ট করা হলে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানও তা অ্যাকসেস করতে পারে না।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারাল বিচারক রুল জারি করেন যে, তদন্তের ক্ষেত্রে ডিভাইস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করতে হবে না এফবিআই-কে।