আইএসএস চালানোর সামর্থ্য নেই নাসা’র: অলড্রিন

যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস) ত্যাগ করা উচিত নাসা’র এমনটাই বলছেন চাঁদের বুকে পা রাখা দ্বিতীয় মানব বাজ অলড্রিন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2017, 10:24 AM
Updated : 14 May 2017, 10:24 AM

হিউম্যান টু মার্স-শীর্ষক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে অলড্রিন বলেন, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র আইএসএস চালিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। এর পরিবর্তে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য খরচ করা উচিত, বলা হয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর প্রতিবেদনে।

“যত দ্রুত সম্ভব আমাদের আইএসএস-কে অবসর দেওয়া উচিত। আমরা আসলেই এতে বছরে সাড়ে তিনশ’ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করতে পারি না।”

২০২৪ সাল পর্যন্ত চালানোর মতো তহবিল রয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের। এর বাইরে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চালাতে বাড়তি ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার তহবিল জোগাড়ের প্রত্যাশা করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।

নাসা’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “মঙ্গলে যাত্রার জন্য আইএসএস-কে রাখাটা জরুরী।” ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনের প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণের অনুভূতি দিতে তৈরি করা হয়েছে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি চলচ্চিত্র। এতে ব্যবহারকারীকে মঙ্গল ভ্রমণ করাবেন অলড্রিন।

‘সাইক্লিং পাথওয়েইস টু মার্স’ নামের চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১০ মিনিট। এতে অলড্রিনের হলোগ্রাফ ব্যবহারকারীকে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণের অনুভূতি অনুবাদ করবেন।

অলড্রিনের পরিকল্পনায় চাঁদ ও পৃথিবীর ব্যবহারও রয়েছে। এখান থেকে লাল গ্রহটিতে যাত্রা করবে মানুষ। সাধারণত এই গ্রহে যেতে বা ফিরে আসতে ছয় মাস সময় লাগে।

আইএসএস-এর পরিবর্তে অলড্রিন প্রস্তাব করেছেন- যত বেশি সম্ভব ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লো আর্থ অরবিট প্রজেক্টে বিনিয়োগ বাড়াতে। লো আর্থ অরবিট বলতে ছোট ছোট স্পেস স্টেশন সদৃশ ভাসমান স্থাপনা বোঘানো হয়েছে যেগুলো স্বল্প দূরত্বে অবস্থান করে পৃথিবীকে আবর্তন করবে। এগুলোকেই পরে মঙ্গলযাত্রার জন্য লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করেন অনড্রিন।

মঙ্গলে স্থায়ী বসবাসের জন্যই যাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন এই চন্দ্রমানব।

“আমাদের নিশ্চৎ হতে হবে যে ওখানে যাওয়ার প্রকল্পটি টেকসই হবে এবং আমরা সেখানে স্থায়ী হতে পারব। এবার স্রেফ পতাকা গেড়ে পায়ের ছাপ ফেলে আসার জন্য যাওয়া ঠিক হবে না।”